ওসমানীনগরে অবৈধ ভাবে স্কুলের শতবর্ষী গাছের ডাল-পালা কেটে বিক্রির পাঁয়তারা
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ আগস্ট ২০১৬, ১২:৩৩ পূর্বাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
কোন কারন ছাড়াই ওসমানীনগর উপজেলার ধনপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছোট-বড় মিলিয়ে ৮টি গাছের ডাল-পালা অবৈধ ভাবে কেটে সেগুলো বিক্রয় করার জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এর মধ্যে শতবর্ষী কয়েকটি গাছও রয়েছে। ১৯২৮ সালে প্রতিষ্টিত এই স্কুলের সীমানায় ডাল-পালা বিহীন মেহগনি, অর্জন, রেন্টি, আম ও চাম্বুল গাছগুলো এখন ঠায় দাঁড়িয়ে আছে। ঊবর্ধতন কতৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রব গাছ গুলোর ডাল-পালা ছেঁটে বিক্রি করার পাঁয়তারা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রধান শিক্ষক গাছের ডাল-পালা কাটার পর এগুলো নিলামে বিক্রী করার জন্য প্রথমে পাশ^বর্তী একটি গ্রামের মসজিদে মাইকিং করিয়েছেন। বৃহস্পতিবার রিক্সা যোগে মাইক ভাড়া করে এগুলো নিলামে বিক্রী করার ঘোষনা দেয়া হলে তৎপর হন এলাকাবাসী। এরপর এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার বিকেলে ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট এবিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়। অভিযোগের প্ররিপ্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শওকত আলী এলাকাবাসীকে বলেন-বরিবার (২৮ আগষ্ট) এ বিষয়ে সরেজমিন তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এদিকে ধনপুর সরকারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রবের বাড়ী স্কুলের পাশ^বর্তী মুমিনপুর গ্রামে হওয়ার সুবাদে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বভার গ্রহনের পর থেকে তিনি বিভিন্ন অনিয়ম দর্নীতি করে স্কুল পরিচালনা করে আসছেন বলে এলাকাবাসী ও অবিভাবকরা অভিযোগ করেছেন। এক বছর পুর্বে প্রধান শিক্ষক স্কুলের একটি আম গাছের ডাল-পালা ও একটি চাম্বুল গাছ বিক্রী করে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন বলেও অভিযোগে প্রকাশ। গত বছরের ২৭ এপ্রিল প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুলের গাছ ও গাছের ডাল-পালা কেটে বিক্রির অভিযোগ সহ সুনির্দিষ্ট ৯টি অভিযোগ উল্লেখ করে ওসমানীনগরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বালাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন। তাছাড়া প্রধান শিক্ষক আব্দুর রব বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’র একজন কর্মী বলে এলাকাবাসীর কাছে যথেষ্ট তথ্য প্রমানাদী রয়েছে। এক সময় তিনি জামায়াতের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন বিষয়টি প্রধান শিক্ষক নিজেও স্বীকার করেছেন। উসমানপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জুবায়ের আহমদ লিটন বলেন-‘কোন কারন ছাড়াই প্রধান শিক্ষক কাউকে না জানিয়ে এভাবে স্কুলের পুরনো গাছগুলোর ডাল-পালা কাটার কথা শুনে আমি খুবই মর্মাহত হয়েছি’। ডাল-পালা কাটার সত্যতা স্বীকার করে ধরপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রব বলেন-‘পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্কুলের ভবনের টিনের চাল বক্ষা করা এবং আসবাবপত্রের প্রয়োজনে একটি রেজুলেশন করে গাছের ডাল-পালা কাটা হয়েছে। এলাকার কথিপয় লোকজন স্কুল পরিচালনা কমিটিতে স্থান না পেয়ে তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার করছে। আমার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ সত্য নয়। এ ক্ষেত্রে অভিযোগকারীরা স্কুল কমিটির অন্যান্য লোকজনের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলছেনা’। ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শওকত আলী বলেন-‘ধনপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গাছের ডাল-পালা কাটার বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করার জন্য উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা শিক্ষা কর্মকর্তা সৌরভ পাল মিঠুনকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে’।