ভেজাল মসলায় সয়লাব ওসমানীনগরের হাটবাজার
প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ আগস্ট ২০১৬, ১২:৩১ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
ভেজাল ও নিম্নমানের মসলায় সয়লাব ওসমানীনগর উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার। সামনে কোরবানির ঈদ। কোরবানি দেওয়া পশুর মাংস রান্নার মূল উপাদান হলো মসলা। এ জন্য বেশ আগে ভাগে প্রস্তুতি সেরে রেখেছে ভেজাল মসলা উৎপাদন ও বিক্রয় কারী সিন্ডিকেট। ভেজাল ও নিম্ন মানের মসলায় ভরে গেছে ওসমানীনগর উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার। দোকানে দোকানে পৌঁছে গেছে এসব ভেজাল ও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর মসলা। বেশি মুনাফার লোভে কয়েকটি অসাধু ব্যবসায়ী চক্র বাজারে এসব ভেজাল মসলার জোগান দিচ্ছে। অসাধু দোকান দাররাও বেশি লাভের আশায় এসব ভেজাল মসলা বেশি বিক্রি করছে। ওসমানীনগর উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার ঘুরে মসলা বিক্রেতা এবং ভেজাল মসলা কিনে প্রতারিত হওয়া মানুষের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিশেষ করে হাটবাজারের পাশে ফুটপাতে বসে বিক্রি করা খোলা মসলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভেজাল রয়েছে। এই ভেজাল মসলা কিনে মানুষ এক দিকে যেমন প্রতারিত হচ্ছে, আবার অন্যদিকে এসব খেয়ে আক্রান্ত হচ্ছে নানা জটিল রোগে। ওসমানীনগর উপজেলার হাটবাজার গুলোতে দীর্ঘদিন ধরে ভেজাল বিরোধী কোনো অভিযান পরিচালিত না হওয়ায় এবং মসলা উৎপাদন কারী প্রতিষ্ঠানের ওপর প্রশাসনের কোনো নজরদারি না থাকায় অসাধু চক্র গুলো নিরপদে এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগে জানা গেছে। ব্যবসায়ীদের অনেকে জানান, কোরবানির সময় মসলার চাহিদা অনেক বেশি থাকে। এ জন্য এ ঈদকে সামনে রেখে ভেজাল ও নিম্ন মানের মসলা উৎপাদন কারী চক্রটি বেশ আগে ভাগে দোকানে দোকানে সরবরাহ দিয়েছে এসব ভেজাল মসলা। এরই মধ্যে গোয়ালাবাজার, তাজপুর, বেগমপুর, শেরপুর, বুরুঙ্গা, উমরপুর, দয়ামীরসহ অনেক হাট বাজার গুলো ভরে গেছে ভেজাল মসলায়। তাজপুর বাজারের সুমন ইসলামসহ কয়েকজন মুদি দোকানদার জানান, উপজেলায় বেশ কয়েকটি ভেজাল মসলা উৎপাদনকারী সিন্ডিকেট রয়েছে। তারা গোপন কারখানায় ভেজাল মসলা উৎপাদন ও প্যাকেটজাত করে পুরো ওসমানীনগর ও আশ পাশ হাটবাজারের মুদির দোকানসহ খোলাবাজারে সরবরাহ করে। উপজেলার হাটবাজার ও গ্রামে গড়ে উঠেছে মসলা তৈরির কারখানা। মেশিনে ভাঙ্গিয়ে খুব সহজেই মসলা তৈরি করে বাজারে বিক্রি হচ্ছে। ভেজাল মসলা উৎপাদন কারীরা বাজার থেকে নিম্ন মানের মরিচ, হলুদ, ধনিয়া, গোল মরিচসহ বিভিন্ন মসলা কিনে কারখানায় নানা ধরনের ভেজাল উপাদান মিশিয়ে প্যাকেট করে ও খোলা অবস্থায় বাজার জাত করে।
গোয়ালাবাজারের আতিক মিয়াসহ কয়েকজন মসলা বিক্রেতার সঙ্গে কথা হলে তারা সুরমানিউজকে জানান, উৎপাদনকারীরা তিন ভাবে বাজারে ভেজাল মসলা সরবরাহ করে। কিছু বিক্রি করে প্যাকেট ছাড়া, কিছু বিক্রি করে সাধারণ প্যাকেটে করে আবার কিছু বিক্রি করে নামি-দামি মসলা কম্পানির লেবেল লাগিয়ে। আর এসব ভেজাল মসলা কিনে মানুষ প্রতিনিয়ত প্রতারণার শিকার হচ্ছে। এ ব্যাপারে ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শওকত আলী সুরমানিউউজকে বলেন, এ ধরনের ভেজাল মসলা উৎপাদন ও বিক্রয় কারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালিত হবে। এমন অনৈতিক কাজের সঙ্গে জড়িত থাকলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’