ওসমানীনগরের হুমায়ুন কবীর বিএনপির পূর্নাঙ্গ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ আগস্ট ২০১৬, ১২:১০ পূর্বাহ্ণ
লন্ডন অফিসঃ বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটিতে ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের রাজনৈতিক উপদেষ্টা ওসমানীনগরের হুমায়ুন কবীরকে পুর্নাঙ্গ সম্পাদক করা হয়েছে। বিশ্বস্থ সুত্রে জানা যায়,প্রথম ঘোষিত কমিঠিতে সহ আন্তর্জাতিক সম্পাদক করার দুই দিন পর দলীয় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের প্রেরিত চিঠিতে তাকে আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক করা হয়েছে বলে জানানো হয় । বিদেশ সফরের থাকায় তার সাথে তাৎক্ষনিক যোগাযোগ করা যায়নি। আজ এ ব্যাপারে হুমায়ুন কবীরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সুরমা নিউজ২৪ কে জানান, প্রথমে ঘোষিত কমিঠিতে আমাকে আন্তর্জাতিক সম্পাদকই করা হয়েছিল। ছাপা বা ভুলবশত সেটা সহ আন্তর্জাতিক সম্পাদক দেখানো হয়েছে। এদিকে হুমায়ুন কবীর তার দলীয় নতুন এই দায়িত্ব পাওয়ার পরই বিভিন্ন দেশ সফর করেছেন । ইতিমধ্যই আন্তর্জাতিক লবিং অব্যাহত রাখতে যুক্তরাষ্ট্র,কানাডা, ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ও এশিয়ার চীন জাপান সফর করেছেন। তিনি বলেন, আমি কাজে বিশ্বাসী। আমার উপর এখন যে দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে তা পালনে আমি বদ্ধ পরিকর। দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ও আগামীর দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশে আমি দলের জন্য দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে চাই।
উল্লেখ্য, হুমায়ুন কবীর ওসমানীনগরের উমরপুর ইউনিয়নের হাবসপুর গ্রামের প্রবাসী ফিরোজ আহমদের পুত্র। আড়াই বছর বয়সে পিতা মাতার সাথে ব্রিটেনে আসেন হুমায়ুন কবীর। লেখাপড়ার প্রাথমিক পাঠ সম্পন্ন করেন টাওয়ার হ্যামলেটসে। উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করেন ব্রিটেনের নামকরা ইউনিভার্সিটিগুলোতে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে সাসেক্স ইউনিভার্সিটিতে, পলিটিক্যাল বিষয়ে লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্স পলিটিকেল সায়েন্সে, ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে ক্যাম্ব্রিজ ইউনিভার্সিটিতে। কাজ করেন লন্ডনের মেয়র কেন লিভিংস্টনের উন্নয়ন সংস্থার প্রধান নির্বাহীর বিশেষ সহকারী হিসেবে এবং লিউশামের মেয়র স্যার স্টিভ বালোকের কেভিনেট এডভাইজার ও কাজ করেন দীর্ঘদিন। এছাড়া যুক্তরাজ্য ভিত্তিক সাউথার্ন পলিসি সেন্টারের পরামর্শ বোর্ডের অন্যতম সদস্য হুমায়ুন কবীর। যেখানে ব্রিটেনের রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, প্রফেসররা জড়িত। সুযোগ পান দেশেও কাজ করার।
পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ঢাকায় ইউএন’র অন্তর্ভুক্ত সেন্টার অন ইন্টিগ্রেটেড রুরাল ডেপলপম্যান্ট ও কিছুদিন কাজ করেন হুমায়ুন কবীর। এরমধ্য নিজেকে সম্পৃক্ত করেন ব্রিটেনের রাজনীতিতে। ২০০৬ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত টাওয়ার হ্যামলেটসে লেবার পার্টির নির্বাচিত সেক্রেটারী ছিলেন তিনি। পরে ২০০৬ সালে দেশে রাজনৈতিক সংকটময় অবস্থায় বহির্বিশ্বের সমর্থন পেতে লন্ডনে এক কনফারেন্স করেন হুমায়ুন কবীর। সুনজরে আসেন বিএনপির। মূলত সংকটময় অবস্থায় দেশের জন্য কিছু করার তাগিদ অনূভব করেন। দেশীয় রাজনীতিতে নিজেকে সম্পৃক্ত করার কোন উদ্দেশ্য ছিল না তার। পরবর্তীতে তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বিএনপির চরম সংকটময় অবস্থায় এগিয়ে আসেন তিনি। দুঃসময়ে জিয়া পরিবারের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রাখেন । প্রচার বিমূখ হুমায়ন কবীর বিএনপির জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে নানাভাবে যোগাযোগ অব্যাহত রাখেন। এক পর্যায়ে ব্রিটেনে চিকিৎসার জন্য আসা বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের অনুপ্রেরণায় নিজেকে বিএনপির রাজনীতিতে জড়ান হুমায়ুন কবীর। তারেক রহমানের উপর লেখা বই পলিটিক্স থট অফ তারেক রহমানের অন্যতম একজন সম্পাদক ও ছিলেন তিনি ।