বাংলাদেশকে এক হাজার ফায়ার ফাইটার মোটর সাইকেল দিচ্ছে চীন
প্রকাশিত হয়েছে : ২২ আগস্ট ২০১৬, ৮:০৫ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক :
অগ্নি নির্বাপন কাজে ব্যবহারের জন্য এক হাজার ফায়ার ফাইটার মোটর সাইকেল দিচ্ছে চীন। অনুদান হিসেবে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকে এসব মোটর সাইকেল দেয়া হবে। রাজধানীর বস্তি ও অলি-গলিতে আগুন লাগলে দ্রুত ঘটনাস্থলের কাছাকাছি গিয়ে ওয়াটার মিস্ট ফায়ার মোটর নামের এসব মোটর সাইকেল আগুন নেভাতে কাজ করবে। সোমবার এ সংক্রান্ত একটি বিনিময় পত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন এবং চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ভাইস মিনিস্টার গাও ইয়ান।
উভয় দেশের মধ্যে যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের বৈঠক (জেইসি) শেষে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় বলে জানিয়েছেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন। বৈঠকে বাণিজ্য ঘাটতি কমানো এবং বিনিয়োগ বাড়ানোসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, তিনটি গুরুত্বপূর্ন ইস্যুকে সামনে রেখে অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ-চীন যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের ১৪তম বৈঠক। এতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ইআরডির সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহউদ্দিন এবং চীন সরকারের পক্ষে সেদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ভাইস মিনিস্টার গাও ইয়ান। আলোচনার ইস্যুগুলো হচ্ছে, বাণিজ্য ঘাটতি,বিনিয়োগ ও পারস্পরিক সহযোগিতা।
মেজবাহ উদ্দিন জানান, বর্তমানে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। দু-দেশের মধ্যে বাণিজ্য কমাতে বর্তমানে ৪ হাজার ৭০০ পণ্যের শুল্কমুক্ত সুবিধার বাইরে আরো ১৭টি পণ্যের শুল্কমুক্ত সুবিধা চাওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে চীনে বাণিজ্য মেলা করার ক্ষেত্রে সহযোগীতা এবং বাংরাদেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহবান জানানো হয়েছে। চীন বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে ব্যাপক আগ্রহী হলেও জ্বালানী সরবরাহে নিশ্চয়তা এবং জমি অধিগ্রহণের সমস্যার সমাধান চেয়েছে। চীন এদেশে শুধু সহজ শর্তে ঋণ দেয়া নয়, তারা ইনভেস্টর হিসেবে আসতে চায় এবং বিনিয়োগে নিদিষ্ট অংশের ইক্যুইটি সরবরাহ করেও বিনিয়োগ করতে চায়। বাংলাদেশে চীন একটি এ্যাপারেল জোন স্থাপন করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এছাড়া বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের জন্য ভিসা সহজীকরণের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
সূত্র জানায়, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে চীনের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ৭৪০ কোটি মার্কিন ডলার। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ছিল ৬৮০ কোটি ডলার এবং ২০১২-১৩ অর্থবছরে বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৫৮৬ কোটি মার্কিন ডলার।
এক প্রশ্নের জবাবে মেজবাহ উদ্দিন বলেন,বাংলাদেশে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্প এবং আগামীতে হাতে নেয়া প্রকল্পগুলো আলোচনা হয়েছে। শিঘ্রই ৫/৬টি প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।
ভবিষ্যতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো জোরদারের বিষয়ে উভয় পক্ষ আশাবাদ ব্যক্ত করে। আগামী ১৫তম জেইসি সভা পারস্পারিক আলোচনার ভিত্তিতে ২০১৮ সালে একটি সুবিধাজনক সময়ে চীনে অনুষ্ঠিত হওয়ার বিষয়ে ঐকমত্য পোষন করা হয়। এছাড়া প্রতি তিন মাস পর পর চীনের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে রিভিউ মিটিং করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।