ওসমানীনগরের রাগীব-মজনু উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আতঙ্কে
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ আগস্ট ২০১৬, ২:৫০ পূর্বাহ্ণ
সুরমা নিউজ :
জালিয়াতি মামলায় গ্রেফতার এড়াতে পলাতক কথিত দানবীর রাগীব আলীর মালিকানাধীন একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যৎ ব্যয়নির্বাহ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। ওসমানীনগর উপজেলার পশ্চিম পৈলনপুর ইউনিয়নের ইশাগ্রাই গ্রামের রাগীব-মজনু উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অভিভাবকরা পড়েছেন দুশ্চিন্তায়, শিক্ষার্থী রয়েছে আতঙ্কে।
জানা যায়, ২০০৪ সালের ৯ এপ্রিল প্রায় ৭৬ শতাংশ জমির উপর ইশাগ্রাই গ্রামের বাসিন্দা মজনু মিয়া (যুক্তরাজ্য প্রবাসী) একটি চ্যারিটেবল ট্রাস্টের মাধ্যমে মজনু মিয়া একাডেমি নামে প্রতিষ্ঠানটি চালু করেন। তার একার পক্ষে আর্থিক ব্যয় মেটানো সম্ভব না হওয়ায় ২০১৫ সালে তিনি প্রতিষ্ঠানটি কথিত দানবীর রাগীব আলীর কাছে বিক্রি করে দেন। এ বছরের জানুয়ারি থেকে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালিত হচ্ছে রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহায়তায়।
সম্প্রতি রাগীব আলী দেশ ত্যাগ করায় প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থীর অভিভাবক ও আটজন শিক্ষক-শিক্ষিকা প্রতিষ্ঠানটির ভবিষ্যৎ নিয়ে হতাশায় ভুগছেন। অভিভাবকরা বিষয়টি নিয়ে কথা বললেও শিক্ষক-শিক্ষিকারা মুখ খুলছেন না। অভিভাবকরা বলেন, প্রতিষ্ঠাতা মজনু মিয়া একাডেমি চালাতে না পেরে সেটা বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলে রাগীব আলী এটির দায়িত্ব নেন। সাথে-সাথে নামও পরিবর্তন হয়ে যায়। এখন রাগীব আলী দেশান্তরী। বিদ্যালয়ের তিন শতাধিক শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ কি হবে?
এদিকে এমপিওভুক্তির ঝামেলার কারণে এখন বিদ্যালয়ের কোথাও রাগীব আলীর নামে সাইনবোর্ড ঝোলানো সম্ভব হচ্ছে না। বিদ্যালয়ের অফিসিয়াল কাগজপত্রেও প্রতিষ্ঠাতা মজনু মিয়ার নামটি রয়েই গেছে। এবং এখনও পরিচালনা কমিটির দায়িত্বে রয়েছেন প্রতিষ্ঠাতার নিকট আত্মীয় সৈয়দ আখলাল আহমদ চৌধুরী। শুধু আর্থিক বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছিল রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশনের সিলেট অফিস থেকে।
উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো:রমজান আলী বলেন, ২০১৪ সালে মজনু মিয়া একাডেমি নামেই প্রতিষ্ঠানটির এমপিও’র জন্য আবেদন করা হয়েছিল। এমপিও’র প্রক্রিয়া শুরু হলে সেটির নামকরণ পরিবর্তনের আবেদন করা হবে। বর্তমান রাগীব আলী কাছে প্রতিষ্ঠানটি হস্তান্তরের পরেই মজনু মিয়া একাডেমি নাম মুছে দেয়া হয়েছে।
ওসমানীনগরের ইউএনও মোহাম্মদ শওকত আলী বলেন, এ বিষয়ে আমি অবগত নই। বিদ্যালয়টি পরিদর্শন না করে কিছু বলা সম্ভব নয়। তবে বিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ অনুকূল রাখতে আইনগত কোনো সহযোগিতা করার থাকলে আমি করব।