আর কোন শিশুর এরকম রক্তমাখা মুখ দেখতে চাইনা
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ আগস্ট ২০১৬, ৮:১৬ অপরাহ্ণ
জুবায়ের আহমেদ :
রক্তে মাখা ওমরান নামের সিরিয়ান শিশুটির জায়গায় যদি আপনার শিশুটিকে বসান! আমি কালরাতে বসিয়েছি, আর আমার ছয়বছর বয়সী ছেলেটিকে ধরে অঝোরে কেঁদেছি। সবার মনো কষ্ট একসময় থামবে, একদিন বিষয়টি সবাই ভুলেও যাবো ।
এভাবেই আইলান কুর্দি নামের এক সিরিয়ান শিশুর সমুদ্র তিরে পড়ে থাকা লাশ বিশ্ববিবেক নাড়া দিয়েছিল। কিছুদিন যেতে না যেতেই আমরা ভুলে গিয়েছি।
শ্রদ্ধেয় আনিসুল হক এই শিশুটিকে নিয়ে লিখতে গিয়ে বলেছেন, ”দয়া করে আমাকে কেউ বলতে আসবেন না ওমরান মুসলিম না খ্রিষ্টান, দয়া করে আমাকে কেউ বলতে আসবেন না বোমাবাজরা সিরীয়, নাকি ইসরায়েলি। নাকি ইরানি-নাকি আমেরিকান। আমাকে বলুন পৃথিবীতে কোথাও আর একটা বোমাও পড়বে না একজন ওমরানও বাবা-মাহারা হবে না, রক্তাক্ত হবে না। আমি রাজনীতি বুঝি না বুঝতে চাই না, আমি সীমানা বুঝি না বুঝতে চাই না। আমি মানুষে মানুষে ভেদাভেদ মানি না আমি জানি পৃথিবীর সব মানবশিশুর রক্তের রং লাল আমি জানি পৃথিবীর সব মানুষের অশ্রুর রং এক আপনারা আপনাদের যাঁর যাঁর আদর্শ আর পতাকা নিয়ে বিশ্বাস-অবিশ্বাস-বিশ্বাসঘাতকতা নিয়ে নিজেরা নিজেরা সুখে থাকুন আমাদের সব ওমরানকে বাঁচতে দিন হাসতে দিন।”
তাঁর এই অসাধারণ লেখনি আমাকে আরেকবার কাঁদিয়েছে। বিশ্ব বিবেককে আবারো হয়তো নাড়া দেবে। লোক দেখানো কিছু একটা হয়তো তারা করবে। কিন্তু পৃথিবীর প্রত্যেক শিশুর নিরাপদে বসবাসের জন্য একটি সুন্দর পৃথিবী কে দেবে? আমরা পৃথিবীর সকল বাবাই চাই আমাদের সন্তানরা নিরাপদে বেড়ে উঠুক। খেলতে গিয়ে আঘাতপ্রাপ্ত সন্তানের একটু রক্ত আমাদের সহ্য হয় না। আর ওমরানের পুরো গায়ে রক্ত কিভাবে সহ্য হবে? অনেকেই এখনো কাঁদছেন। আমাদের একটাই চাওয়া, আমরা আর কোন শিশুর এরকম রক্তমাখা মুখ দেখতে চাইনা।