যুক্তরাজ্যে নেতৃত্বের দ্বন্দ্বে শোক দিবসের অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের হাতাহাতি
প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ আগস্ট ২০১৬, ৫:৫০ অপরাহ্ণ
লন্ডন অফিস:
পূর্ব লন্ডনের মাইক্রো বিজনেস সেন্টারে সোমবার শোক দিবসের আলোচনার সভার আয়োজন করে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ। ওই সভা থেকে বের হয়েই হাতাহাতিতে জড়ায় যুক্তরাজ্য ছাত্রলীগ। নেতৃত্বের দ্বন্দ্বে জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের নেতৃবৃন্দ। যুক্তরাজ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪১তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভা শেষ না হতেই হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। যুক্তরাজ্য ছাত্রলীগের দুই পক্ষের তুমুল হট্টগোল আর মারামারির এক পর্যায়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জানা গেছে, যুক্তরাজ্য ছাত্রলীগের বর্তমান রাজনীতি সভাপতি তামিম আহমদ এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফখরুল কামাল জুয়েলের নেতৃত্বে দুই গ্রুপে বিভক্ত। লন্ডন মহানগর শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম ফখরুল কামাল জুয়েলের অনুসারী। সে কারণেই তামিম আহমদ লন্ডন মহানগর ছাত্রলীগের কমিটি থেকে নাজমুল ইসলামকে সরিয়ে দিতে কমিটি ভেঙে দেয়ার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ।
এই বিরোধের জের ধরেই সোমবার তামিম আহমদ এবং নাজমুল ইসলাম বিতর্কে জড়ালে এক পর্যায়ে দুপক্ষে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান শরীফের কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, বিনম্র শ্রদ্ধায় আমরা জাতির জনকের ৪১তম শাহাদাত বার্ষিকী পালন করেছি। কোন ঝামেলা হয়নি। অনুষ্ঠান শেষে ছাত্রলীগের ছেলেদের নিজেদের মধ্য কথাকাটাকাটি হয়েছে। এই বয়সে বন্ধুদের মাঝে ও কথা কাটাকাটির ঘটনা ঘটে। এইটা তেমনি একটা ঘটনা। সিনিয়র নেতারা তাৎক্ষণিকই মিটমাট করে দিয়েছেন।
ছাত্রলীগের সভাপতি তামিম আহমাদ জানান, মারামারির মত কোন ঘটনা ঘটেনি, মহানগর ছাত্রলীগের দুই কর্মীর ব্যক্তিগত বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটেছে। আমরা মধ্যস্থতা করে সঙ্গে সঙ্গেই তাদের মিলিয়ে দিয়েছি। ফকরুল কামাল জুয়েলের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে, তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতারা অস্বীকার করলেও প্রত্যক্ষদর্শীরা মারামারির ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন এবং ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। শোক দিবসের অনুষ্ঠানে এমন ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন সাধারণ অনেক নেতাকর্মী। প্রত্যক্ষদর্শী একজন বলেন, যারা এইসব ঘটনা ঘটিয়েছে বা যাদের ইন্ধনে ঘটানো হয়েছে তাদের প্রতি ধিক্কার। আসলে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা বা শোকের কিছু নয় নিজেদের প্রভাব প্রতিপত্তি নিয়েই ব্যস্ত সবাই। যা জাতির জন্য লজ্জাজনক।