বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটিতে ওসমানীনগরের সন্তান হুমায়ুন কবির
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ আগস্ট ২০১৬, ৫:৫৪ অপরাহ্ণ
জুবায়ের আহমেদ :
সিলেটের ওসমানীনগরের কৃতি সন্তান যুক্তরাজ্য প্রবাসী হুমায়ুন কবীর জায়গা করে নিয়েছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটিতে। তারেক রহমানের রাজনৈতিক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবীর সদ্য ঘোষিত কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদ পাওয়ার পর তিনি মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করেন। এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বিএনপির চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি।
হুমায়ুন কবীর ওসমানীনগরের উমরপুর ইউনিয়নের হাবসপুর গ্রামের প্রবাসী ফিরোজ আহমদের পুত্র। আড়াই বছর বয়সে পিতা মাতার সাথে ব্রিটেনে আসেন হুমায়ুন কবীর। লেখাপড়ার প্রাথমিক পাঠ সম্পন্ন করেন টাওয়ার হ্যামলেটসে। উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করেন ব্রিটেনের নামকরা ইউনিভার্সিটিগুলোতে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে সাসেক্স ইউনিভার্সিটিতে, পলিটিক্যাল বিষয়ে লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্স পলিটিকেল সায়েন্সে, ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে ক্যাম্ব্রিজ ইউনিভার্সিটিতে। কাজ করেন লন্ডনের মেয়র কেন লিভিংস্টনের উন্নয়ন সংস্থার প্রধান নির্বাহীর বিশেষ সহকারী হিসেবে এবং লিউশামের মেয়র স্যার স্টিভ বালোকের কেভিনেট এডভাইজার ও কাজ করেন দীর্ঘদিন। এছাড়া যুক্তরাজ্য ভিত্তিক সাউথার্ন পলিসি সেন্টারের পরামর্শ বোর্ডের অন্যতম সদস্য হুমায়ুন কবীর। যেখানে ব্রিটেনের রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, প্রফেসররা জড়িত। সুযোগ পান দেশেও কাজ করার।
পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ঢাকায় ইউএন’র অন্তর্ভুক্ত সেন্টার অন ইন্টিগ্রেটেড রুরাল ডেপলপম্যান্ট ও কিছুদিন কাজ করেন হুমায়ুন কবীর। এরমধ্য নিজেকে সম্পৃক্ত করেন ব্রিটেনের রাজনীতিতে। ২০০৬ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত টাওয়ার হ্যামলেটসে লেবার পার্টির নির্বাচিত সেক্রেটারী ছিলেন তিনি। পরে ২০০৬ সালে দেশে রাজনৈতিক সংকটময় অবস্থায় বহির্বিশ্বের সমর্থন পেতে লন্ডনে এক কনফারেন্স করেন হুমায়ুন কবীর। সুনজরে আসেন বিএনপির। মূলত সংকটময় অবস্থায় দেশের জন্য কিছু করার তাগিদ অনূভব করেন। দেশীয় রাজনীতিতে নিজেকে সম্পৃক্ত করার কোন উদ্দেশ্য ছিল না তার। পরবর্তীতে তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বিএনপির চরম সংকটময় অবস্থায় এগিয়ে আসেন তিনি। দুঃসময়ে জিয়া পরিবারের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রাখেন । প্রচার বিমূখ হুমায়ন কবীর বিএনপির জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে নানাভাবে যোগাযোগ অব্যাহত রাখেন। এক পর্যায়ে ব্রিটেনে চিকিৎসার জন্য আসা বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের অনুপ্রেরণায় নিজেকে বিএনপির রাজনীতিতে জড়ান হুমায়ুন কবীর। তারেক রহমানের উপর লেখা বই পলিটিক্স থট অফ তারেক রহমানের অন্যতম একজন সম্পাদক ও ছিলেন তিনি ।
হুমায়ুন কবীর সুরমানিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আমার চাওয়ার কিছু নেই। দেশ এবং দেশের মানুষের জন্য আমি কিছু করতে উদগ্রীব। এর জন্য যে সুযোগ দরকার তা-ই করে দিয়েছেন নেত্রী খালেদা জিয়া ও আমার নেতা তারেক রহমান। নিজেকে দেশীয় রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করার একটাই উদ্দেশ্য আমার দলকে এবং দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে সহযোগিতা করা। আমার নিজের সীমাবদ্ধতার মধ্যেও যতটুকু করা সম্ভব তাই আমি করবো। আমি কৃতজ্ঞ ভবিষ্যৎ দেশনায়ক তারেক রহমানের কাছে, যিনি আমাকে এই গুরুত্বপূর্ণ পদের যোগ্য মনে করেছেন।
কমিটিতে জায়গা পাওয়া সিলেটের অন্যান্য নেতৃবৃন্দকে অভিনন্দন জানাই। তারা প্রত্যেকেই নিজেদের যোগ্যতার ভিত্তিতে দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে জায়গা করে নিয়েছেন। আমাদের সবার একটাই উদ্দেশ্য দেশের বর্তমান চরম সংকটময় অবস্থা থেকে উত্তোরণে বেগম জিয়ার নেতৃত্বে কাজ করা ।