ওসমানীনগরে কৃষিজমিতে গড়ে উঠছে স্থাপনা, কমছে আবাদি জমির পরিমাণ
প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ আগস্ট ২০১৬, ৭:৫৯ পূর্বাহ্ণ
সুরমা নিউজঃ
ওসমানীনগরের কৃষি জমিগুলোতে অবাধে গড়ে উঠছে আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন। ফলে দিনদিন হ্রাস পাচ্ছে এলাকার কৃষি জমি। এসব স্থাপনার কবল থেকে রক্ষা পাচ্ছে না হাওর এলাকার জমিগুলোও। একই সঙ্গে ইটের চাহিদা মেটাতে এবং ভিটা উঁচু করার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে কৃষি জমির ওপরের মাটি। এতে চরম হুমকির মুখে পড়ছে এলাকার কৃষি ব্যবস্থা। ভবিষ্যতে এলাকায় কৃষি জমির অভাবে খাদ্যশস্যের চরম ঘাটতি হবে বলে মনে করেন এলাকার সচেতন মহল।
ভূমি ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী কৃষি জমিতে আবাসিক অথবা বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ করতে হলে জেলা প্রশাসকের অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু ওসমানীনগরে এ আইন কেউ মানছে না। আইন লংঘন করেই গড়ে উঠছে বিভিন্ন স্থাপনা। এভাবে চলতে থাকলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই ওসমানীনগরের অধিকাংশ কৃষি জমি আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনের দখলে চলে যাবে।
ওসমাননীনগর উপজেলার ৮টি ইউনিনের অধিকাংশ লোক ইউরোপ আমেরিকাসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে স্থায়ী ও অস্থায়ীভাবে বসবাস করে আসছেন। এসব প্রবাসী পরিবারের সদস্যদের সিংহভাগই কৃষির প্রতি অমনোযোগী। প্রবাসীরা কৃষির চেয়ে বড় বড় বাসাবাড়ি এবং মার্কেট তৈরিতেই বেশি আগ্রহী। ফলে প্রবাসে আয়কৃত টাকার অধিকাংশই ব্যয় হচ্ছে দালানকোঠাসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণে। গ্রাম ও বাজার এলাকার আশপাশের কৃষি জমি বড় বড় অট্টালিকায় পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। এখন হাওর এলাকার কৃষি জমিগুলোতে গড়ে তুলছেন দালান কোঠাসহ বিভিন্ন স্থাপনা। এছাড়া হাওর এলাকার অধিকাংশ কৃষি জমির ওপরের উর্বর মাটি চলে যাচ্ছে ইটভাটায় ও ভিটা ভরাটের কাজে।
জানা যায়, গত এক যুগে এলাকায় কৃষি জমি কমেছে কয়েকশ একর। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ওসমানীনগরের ব্যবসায়িক প্রাণকেন্দ গোয়ালাবাজার এলাকা চারদিকে দাঁড়িয়ে আছে বিশাল অট্টালিকা। বাজারের পূর্বে অবস্থিত ইউনিয়নের একমাত্র হাওর কালাসারা এলাকা এখন বনলতা আবাসিক এলাকা নামে পরিচিত। হাওরের বিশাল অংশে গড়ে উঠেছে বসতবাড়িসহ মার্কেট। বাসাবাড়ি নির্মাণের উদ্দেশ্যে অনেকেই নিজের জমিতে নির্মাণ করছেন সীমানা প্রাচীর। উপজেলার তাজপুর, দয়ামীর, কুরুয়া, শেরপুর, সাদীপুরসহ অন্য এলাকায়ও একই রকম দৃশ্য দেখা গেছে।