ব্রিটেনে লক্ষাধিক মানুষের সমাগমে বৈশাখী মেলা সম্পন্ন
প্রকাশিত হয়েছে : ৮:১১:২০,অপরাহ্ন ৩১ জুলাই ২০১৬

গরমের মধ্যও মূল মঞ্চের সামনে দর্শকদের ছিল উপচে পরা ভীড় । নারী পুরুষ আবাল বৃদ্ধ বনিতা সকলের অংশগ্রহন ছিল স্বতস্ফুর্ত ও প্রাণউচ্চল । অনেকেই এসেছিলেন বৈশাখী মেলা উপভোগের পাশাপাশি বহুদিনের না দেখা বন্ধুবান্ধব ও পরিচিত জনদের সাথে দেখা করতে । এতে করে এই বৈশাখী মেলা প্রাণ পায় বাঙালিদের এক মহা মিলন মেলায় । মেলা উপভোগকারী সংস্কৃতিপ্রেমী ব্যক্তি কমিউনিটি নেতা ফয়ছল হুসাইন সুমন বলে ন, আমার সুযোগ হয়েছে অনেক বৈশাখী মেলা দেখার , রমনার বটমূল থেকে শুরু করে চট্রগ্রামের ফয়েস লেক,ও দেশী বিদেশী বৈশাখী মেলা, কিন্তু আমার কাছে মনে হয়েছে এ মেলার কাছে অন্য সব মেলা ম্লান । যদি ও আমরা চতুর্থ বাংলায় বসবাস করি । এখানে ব্রিটেনকে তৃতীয় বাংলা বলা হলেও তা সত্য নয় । তৃতীয় বাংলা আসলে বরাক বঙ্গ যা আসামের অন্তর্ভুক্ত সিলেটি বাঙালি । যেখানে ৪০ লক্ষ বাঙালির বসবাস । এবারের আয়োজন আয়োজন ছিল অনেকটা ব্যাতিক্রম । ব্রিটেনের বিভিন্ন জায়গা থেকে আগত বাংলাদেশীদের উপস্থিতি উচ্ছাস দেখে মনে হয়েছে আমরা চতুর্থ বাংলা নয় আমরাই প্রথম বাংলা ।
মেলায় ছিল বৈশাখের গান, বৈশাখী পিঠা বৈশাখি মেলার অনেক উপকরণ তারপরও ছিল প্রবাসী বাঙালিদের বাধভাঙ্গা উচ্ছাস । বাংলা নববর্ষ পালনের লক্ষ্য টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের উদ্দ্যগে প্রতিবছর অনুষ্টিত হয় বাঙালিদের সর্ববৃহত উৎসব বৈশাখী মেলা । মেলায় উইভার্স ফিল্ডে মূল মঞ্চে বেলা ১১টা থেকে শুরু করে একটানা সাত ঘন্টার বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্টানে দেশ বিদেশের সেরা ও জনপ্রিয় শিল্পীরা অংশ নেন । মেলায় সঙ্গীত পরিবেশন করেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় শিল্পী হাবিব ওয়াহিদ ও আইয়ুব বাচ্চু । এছাড়া অনুষ্টানকে প্রানবন্ত করতে লোকসঙ্গীত পরিবেশন করেন স্থানীয় শিল্পিরা । অনুষ্টানে স্থানীয় প্রতিভাবান তরুণ শিল্পীরাও অংশ নেন । যাদেরকে চলতি বছরের শুরুর দিকে অডিশনের মাধ্যমে বাছাই করা হয়েছিল । সবচেয়ে আকর্ষনীয় ছিল এলেন গার্ডেন্সের মঞ্চে স্থানীয় শিল্পীদের পাশাপাশি জনপ্রিয় ব্রিটিশ সঙ্গীত শিল্পী ও নৃত্য শিল্পীদের নানা পরিবেশনা । এই মঞ্চেই বাংলাদেশী সঙ্গীত ঐতিহ্যের সাথে আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকার সঙ্গীত ধারার মিশ্রণে পরিবেশিত হয় লক্ষী ত্যারা । ইস্ট লন্ডনের তরুনরা দেশী মুভমেন্টে তুলে ধরেন প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যর সঙ্গীত ধারা । বাংলাদেশী সংস্কৃতি বহির্বিশ্বে র মানুষের কাছে তুলে ধরার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল তাদের ব্যতিক্রমী পরিবেশনা । এখানে ছিলনা কোন বৃহত্তর পরিসর, সল্প পরিসরে হলেও এখানে ছিল বাংলাদেশী ও বিদেশী সংস্কৃতির নানা মিশ্রন । ছিল বাঙালি সঙ্গীতের আবহমানকালের সঙ্গীত পুরোধা হাসান রাজা,বাউল আব্দুল করিম ,রাধা রমনদের বিখ্যাত গান । এখানে উপস্থিত বিদেশীরা প্রাণভরে উপভোগ করেছেন বাঙালি বিদেশীর সংস্কৃতির নানা পরিবেশনা । যা না দেখলে কারো পক্ষে উপলব্ধি করা সম্ভব নয় কতটা মনোমু গ্ধকর ছিল এই পরিবেশনা ।