এখনো সন্ধান মেলেনি নিখোঁজ সেই সিলেটী পরিবারের !
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:১৫:৪৮,অপরাহ্ন ২৪ জুলাই ২০১৬
সুরমা নিউজ ডেস্ক :
সিলেট থেকে লন্ডন যাওয়ার পথে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের এক প্রবাসী পরিবারের ১২ সদস্য নিখোঁজের ১৪ মাসেও খোঁজ মেলেনি তাদের। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানায় কোনো সাধারণ ডায়েরি না হলেও প্রাপ্ত তথ্য অনুসন্ধানে নেমেছে পুলিশ। এ ব্যাপারে নিখোঁজদের স্বজনরাও মুখ খুলছেন না।
জানা যায়, সিলেটের আবুল মোহাম্মদ আবদুল মান্নান (৭৫) ব্রিটেনে দীর্ঘদিন ধরে সপরিবারে বসবাস করে আসছিলেন। দেশে ও ব্রিটেনে বিপুল বিত্তের মালিক তিনি। ২০১৫ সালের ১০ এপ্রিল পরিবারের সবাইকে নিয়ে ছুটি কাটাতে বাংলাদেশে আসেন। একমাস দেশে অবস্থানের পর ওই বছরের ১ মে যুক্তরাজ্যে ফেরার জন্য তারা সবাই ইস্তানবুলে পৌঁছান। সেখান থেকে ১৪ মে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছার কথা ছিল। কিন্তু ইস্তানবুল থেকে নিখোঁজ হন তারা। বৃদ্ধ আবুল মোহাম্মদ আবদুল মান্নানের সাথে তার দ্বিতীয় স্ত্রী মিনারা খাতুন (৫৩), মেয়ে সাইদা খানম (২৭), রাজিয়া খানম (২১), ছেলে মো. জায়েদ হুসাইন (২৫), মোহাম্মদ তৌফিক হুসাইন (১৯), ভাতিজা ও মেয়ের জামাই মো. আবুল কাশেম সাকের (৩১) , মোহাম্মদ সালেহ হুসাইন (২৬), তার স্ত্রী রোশনারা বেগম (২৪) এবং তাদের ৩ সন্তান (যাদের বয়স ১ থেকে ১১ বছর) নিখোঁজ হন।
এর আগে দেশে ফেরার পথে ৯ এপ্রিল হিথ্রো বিমানবন্দর পুলিশ সন্দেহভাজন হিসেবে তাদের ব্যাপক তল্লাশী করে। তাদের একদিন আটক রাখায় নির্ধারিত ফ্লাইটে তারা দেশে আসতে পারেননি। পরবর্তী ফ্লাইটে ওই পরিবার বাংলাদেশে আসে। পরিবারের সকল নারীর বোরকা ও হাতমোজা, পা মোজা পরার কারণে সেদেশের পুলিশের সন্দেহ হয় বলে জানিয়েছেন ওই পরিবারের এক স্বজন।
ফেঞ্চুগঞ্জের মাইজগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বলেন, আবদুল মান্নান বয়স্ক লোক। তাদের আদি নিবাস ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার মাইজগাঁও গ্রামে। আবদুল মান্নান সপরিবার লন্ডন যাওয়ার পথে নিখোঁজ হন। লন্ডন ও বাংলাদেশে তাদের প্রচুর সম্পত্তি রয়েছে। তাছাড়া তারা এতো বেশি শিক্ষিতও নন। এ ধরনের অশিক্ষিত মানুষরা সপরিবারে সিরিয়া যাবে বলে মনে হয় না। বাড়িতে তার দুই ভাই লুলু মিয়া ও লেবুল মিয়া রয়েছেন। লুলু মিয়া শারীরিকভাবে অসুস্থ বলে জানান চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম।
স্থানীয় মাইজগাঁও গ্রামের জাহিদুর রহমান জানান, শুনেছি তারা লন্ডনে যাওয়ার পথে তুরস্ক থেকে নিখোঁজ হন। এরপর থেকে এখনও তাদের খোঁজ মেলেনি।
সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজ্ঞান চাকমা বলেন, এ পরিবারের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। বর্তমানে নিখোঁজ ইস্যু নিয়ে যে অবস্থা চলছে, তাতে আমরা তাদের ব্যাপারেও খোঁজ নিচ্ছি। তিনি আরও বলেন, ওই পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো জিডিও করা হয়নি। তাদের কোনো সন্ধান পাওয়া গেলে জানানো হবে।