বালাগঞ্জে নারী নির্যাতন মামলা করে আতংকে বাদীর পরিবার
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ জুলাই ২০১৬, ৩:১৬ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
বালাগঞ্জে নারী নির্যাতন মামলা করে চরম নিরাপত্তহীনতায় ভূগছে বাদী ও তার পরিবার। মামলা উঠিয়ে নিতে বিবাদীর নানামুখী হুমকীতে তারা দিশেহারা প্রায়। তবে, বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন বলে জানিয়েছেন বালাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ তরিকুল ইসলাম তালুকদার।
একাধিক সূত্রে জানা যায়, বালাগঞ্জ উপজেলার গালিমপুর গ্রামের করুণাময় দাস (৫৫) ২০১২ সালের ২১ ডিসেম্বর একই এলাকার দুই সন্তানের জননী এক গৃহবধূ (৩০)কে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় গৃহবধূর স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। কিছুক্ষণপর দিনমজুর স্বামী বাড়ীতে এসে ঘটনাটি জেনে থানা পুলিশকে অবগত করেন এবং তার স্ত্রীকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালের ও.সি.সি বিভাগে ভর্তি করেন। পরবর্তীতে ধর্ষিতা গৃহবধূ নিজে বাদী হয়ে করুণাময় দাসকে একমাত্র আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ০৪/১২.০২.২০১৩ইং। এ ঘটনায় থানা পুলিশ করুণাময় দাসকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। প্রায় একমাস পর আদালত থেকে জামিন পায় করুনাময় দাস। জামিনে বেরিয়ে এসে সে হতদরিদ্র বাদী ও তার পরিবারকে মামলা তুলে নিতে হুমকী প্রদর্শন করে আসছে। ইতোমধ্যে বাদীর স্বামী একাধিক বার করুণাময়ের হাতে লাঞ্চিতও হয়েছেন। এনিয়ে বেশ কয়েকবার গ্রাম্য সালিশ হলেও কার্যতঃ কোন প্রতিকার পায়নি বাদীর পরিবার। ইদানিং আবারো করুণাময় দাস বেপরোয়া হয়ে উঠছে বলে অভিযোগ করেছেন বাদীর স্বামী।
মামলা বাদী ও ধর্ষিতা গৃহবধূ বলেন, করুনাময় দাস মামলা তুলে নিতে আমাদের নানা ভাবে হুমকী দিচ্ছে। মামলার পর থেকে বেশ কয়েকবার সে আমার স্বামীকে মারধর করেছে। তার ভয়ে আমরা বাড়ী পরিবর্তনে বাধ্য হয়েছি। বর্তমানে দুটো সন্তানসহ আমাদের পুরো পরিবার আতংকের মধ্যে রয়েছে।
এ ব্যাপারে বালাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ তরিকুল ইসলাম তালুকদার সুরমা নিউজকে বলেন, আমি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নই। বাদী অভিযোগ নিয়ে এলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, করুণাময় দাস ২০১৪ সালের ১৪এপ্রিল দিবাগত রাতে একই এলাকার এক বাড়িতে প্রবেশ করে এক কিশোরী (১৭) কে ও শারীরিক ভাবে নির্যাতন করে। উক্ত ঘটনায় কিশোরীর দাদী বাদী হয়ে বালাগঞ্জ থানায় মামলা (০৬/২০১৪ইং) দায়ের করলে বর্তমানে করুণাময় জামিনে রয়েছে। এছাড়াও করুণাময় দাসের বিরুদ্ধে নারীনির্যাতন সহ নানা অসামিজক কাজের অভিযোগ রয়েছে।