দিরাইয়ে যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি ১৯ বছরেও !
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ জুলাই ২০১৬, ৭:৪০ পূর্বাহ্ণ
সুরমা নিউজ :
দীর্ঘ ১৯ বছর পর দিরাই উপজেলা যুবলীগের সম্মেলন হলেও, এখনও পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়নি। সম্মেলনের ৪ মাস পরও পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা না হওয়ায় যুবলীগের নেতৃত্ব নিয়ে ধূম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। লোভনীয় পদ প্রত্যাশীরা একাধিক গ্রুপে বিভক্ত হয়ে সাংগঠনিক কার্যক্রম থেকে অনেকটা দূরে থাকছেন। যার ফলে তৃণমূলে হযবরল অবস্থা বিরাজ করছে।
জানা গেছে, গত মার্চ মাসে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে যুবলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে সভাপতি পদে অন্য কোনো প্রার্থী না থাকায় দেড় যুগ ধরে আহ্বায়কের দায়িত্বে থাকা রঞ্জন রায়কে সভাপতি হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়। সাধারণ সম্পাদক পদে একাধিক প্রার্থী থাকায় কৌশলগত কারণে তা আর ঘোষণা করা হয়নি। এরপর সাধারণ সম্পাদক পদ লাভে কেন্দ্র থেকে শুরু করে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে লবিং শুরু হয়। পদ প্রত্যাশীরা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য দিরাই-শাল্লা আসনের এমপি সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সঙ্গে ঢাকায় গিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করেন। প্রার্থীদের মধ্যে সম্পাদক পদে মোহন চৌধুরী, মিজানুর রহমান মিজান, মকসুদ আলম, লালন মিয়া, ফারুক সরদার, কামরুল ও আক্কাস মিয়া এদের মধ্যে কে আসছেন এ নিয়ে দলে নানা গুঞ্জন শুরু হয়।
অভিযোগ রয়েছে, সভাপতি পদ লাভের পর রঞ্জর রায় সম্পাদক পদ পাইয়ে দিতে একাধিক প্রার্থীকে আশ্বাস দেন কিন্তু পরবর্তিতে নিজের পছন্দের লোকদের দিয়ে পকেট কমিটি করার চেষ্টা করলে তাকে তোপের মুখে পড়তে হয়। এছাড়া গত ইউপি নির্বাচনে যুবলীগের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন যুবলীগের ওই সভাপতি।
যুবলীগের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেন। এরপর থেকে যুবলীগের ত্যাগী নেতাদের একটি গ্রুপ সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি মতিউর রহমানের হাত ধরে বিভিন্ন সভা সমাবেশ করে দলে গ্রুপিং রাজনীতিতে সক্রিয় হন।
উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রঞ্জন রায় এসব অভিযোগ মিথ্যা-বানোয়াট উল্লেখ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে যুবলীগ সক্রিয় ভূমিকা রাখছে, শুরু থেকেই দলের স্বার্থ চিন্তা করে যাতে যোগ্যদের নেতৃত্ব তৈরি হয় এটাই চেয়েছি।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সাধারণ সম্পাদক পদে মোহন চৌধুরীর নাম জোড়ালোভাবে শোনা গেলেও মাঝ পথে এসে সম্পাদক পদে মিজানুর রহমান মিজানের অবস্থান জোড়ালো হচ্ছে। এছাড়াও যুবলীগ নেতা মকসুদ আলম ও ফারুক সরদারের নাম আলোচনায় রয়েছে।