‘‘ কবির বাহিনীর কাছে সাদিপুরবাসী জিম্মি ’’
প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ জুলাই ২০১৬, ১০:৪৫ পূর্বাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলা আ’লীগের সাবেক সভাপতি ও সাদিপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কবির উদ্দিন আহমদের সন্ত্রাসী বাহিনীর কাছে সাদীপুরবাসী জিম্মি। কবির বাহিনীর অত্যাচারে এলাকার জনসাধারণ আতংকের মধ্যে রয়েছেন। কবির উদ্দিন আহমদ গত ইউপি নির্বাচনে পরাজিত হয়েছে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার প্রতিশোধ নিতে তার বাহিনীর এলাকায় যা ইচ্ছে তা-ই করে বেড়াচ্ছে। তাদের কাছে দেশীয় অস্ত্রের পাশাপাশি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রও মজুদ রয়েছে। কিছুদিন পূর্বে তাদের হামলায় গুলিবিদ্ধ এক প্রবাসী পঙ্গু হয়ে গেছেন। তার ভয়ে তার দলীয় মানুষরা পর্যন্ত মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না।
কবির বাহিনীর হাতে নির্যাচিত সাদিপুর ইউপির ২নং ওয়ার্ডের নব নির্বাচিত ইউপি সদস্য ও উপজেলা স্বেচ্ছা সেবক লীগ নেতা স্বপন মিয়া এ সব অভিযোগ করেন। শনিবার দুপুরে গোয়ালাবাজারস্থ ওসমানীনগর উপজেলা প্রেসক্লাব কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে কবির বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগের ফিরিস্থি তুলে ধরেন স্বপন মিয়া। এ সময় স্বপন মিয়ার নিকটাত্মিয় আব্দুল মতিন, রাজু আহমদ, আলী হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে স্বপন মিয়া বলেন, কবির বাহিনীর নির্যাতন থেকে রক্ষা পাচ্ছে না তার দলীয় রাজনৈতিক নেতা-কর্মী পর্যন্ত। যার অন্যতম উদাহরণ আমি নিজে। আমার উপর কবির উদ্দিনের নির্দেশে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী সুমন, জুবেল, সায়েদ, জিলু, ফয়েজ, বাদল, মোহন, রকি, সাজু, আখি মিয়া, আজির, রাসেল, সাইদুল গত ১২জুলাই চাতলপাড়ে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে আমি গুরুতর আহত হই। স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ ব্যাপারে আমি থানায় মামলা দায়ের করে পড়েছি আরো বিপাকে। কতিপয় সন্ত্রাসী জামিনে বেরিয়ে এসে মামলা তুলে নিতে আমাকে একের পর এক হুমকী দিয়ে আসছে। তাদের ভয়ে আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি।
সাংবাদিকদের জ্ঞাতার্থে স্বপন মিয়া বলেন, গত ১৫ জুলাই কবির উদ্দিন বাহিনীর হামলায় ইব্রাহীমপুর গ্রামের মালেক আহমদ গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। হাসপাতালে মালেকের একটি পা কেটে ফেলা হয়েছে। আমরা এলাকাবাসী কবির বাহিনী ভয়ে স্বাভাবিক ভাবে চলাচল করতে পারছি না। যে কোন সময় আমার উপর আরো হামলা হতে পারে। তাই ভবিষ্যতে যদি আমি বা আমার পরিবারের কারো উপর হামলা-মামলা হয় তবে তা কবির বাহিনীর যোগ-সাজশেই হয়েছে বলে সবাই জানবেন।
স্বপন মিয়া উপরোক্ত বিষয়ে প্রশাসন, সাংবাদিক ও এলাকাবাসীর কাছে প্রতিকার আশা করে বলেন, এ সব নেতার কারণে এলাকায় আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। গত ইউপি নির্বাচনেও ভরাডুবি ঘটেছে। তাই এদের ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দলীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি আর্জি জানাচ্ছি।