সাংবাদিক নির্যাতনকারী কারারক্ষীদের শাস্তি দাবি
প্রকাশিত হয়েছে : ২:১৫:০৬,অপরাহ্ন ২২ জুলাই ২০১৬
সুরমা নিউজ:
সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে পেশাগত দায়িত্বপালনকালে কারারক্ষীদের হামলায় আহত ৫ সাংবাদিকদের সুচিকিৎসা ও ন্যাক্কারজনক ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন সিলেটের বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ।
শুক্রবার (২২ জুলাই) বিকালে সিলেট জেলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সিলেট জেলা প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ ও প্রতিনিধিত্বশীল সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত জরুরি সভায় বক্তারা এ দাবি করেছেন। এসময় সাংবাদিকবৃন্দ হামলায় আহত সাংবাদিকদের ক্ষতিপূরণও দাবি জানান। নতুবা এ ঘটনায় সাংবাদিকরা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবেন বলে সভায় জানানো হয়।
জেলা প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি দৈনিক মানবজমিন ও একুশে টেলিভিশনের সিলেট ব্যুরো প্রধান ওয়েছ খসরুর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের সিলেট ব্যুরো প্রধান শাহ্ দিদার আলম নবেলের পরিচালনায় উক্ত সভায় বক্তব্য রাখেন- ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের সিলেট ব্যুরো আল আজাদ, দৈনিক উত্তরপূর্বের বার্তা সম্পাদক তাপস দাস পুরকায়স্থ, প্রেসক্লাব ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক যুগান্তরের সিলেট ব্যুরো প্রধান রেজওয়ান আহমদ, জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক যুগান্তরের নিজস্ব প্রতিবেদক সংগ্রাম সিংহ, শ্যামল সিলেটের নির্বাহী সম্পাদক আবদুল মুকিত, প্রথম আলোর ব্যুরো প্রধান উজ্জল মেহেদী, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সিলেট বিভাগীয় সভাপতি ও শ্যামল সিলেটের প্রধান আলোকচিত্রী ইকবাল মনসুর, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি ও শুভ প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক মঈন উদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ ও নিউ এইজের সিলেট প্রতিনিধি মনিরুজ্জামান মনির, যুগান্তরের আলোকচিত্রী মামুন হাসান, জিটিভির সিলেট প্রতিনিধি বিলকিস আক্তার সুমি, জেলা প্রেসক্লাবের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ও যুগভেরীর স্টাফ রিপোর্টার সৈয়দ রাসেল, শ্যামল সিলেটের বিশেষ প্রতিবেদক সাত্তার আজাদ, দৈনিক খবরের জেলা প্রতিনিধি খলিলুর রহমান, প্রথম আলোর সিলেট প্রতিনিধি সুমন কুমার দাস, জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক দপ্তর সম্পাদক ও যায়যায়দিনের সিলেট ব্যুরো প্রধান তালুকদার আনোয়ারুল পারভেজ, জেলা প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক ও পূর্বপশ্চিমবিডি’র সিলেট জেলা প্রতিনিধি মিসবাহ উদ্দীন আহমদ, শ্যামল সিলেটের প্রতিবেদক অমিতা সিনহা, প্রেসক্লাবের তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক এবং যুগভেরীর প্রতিবেদক এম এ মালেক প্রমুখ।
জরুরি সভায় বক্তারা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্রতি বলেন, অবিলম্বে এই ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত তিন সাংবাদিককে ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে। অন্যথায় পরবর্তীতে জরুরি সভার মাধ্যমে কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবেন সর্বস্তরের সাংবাদিকবৃন্দ।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ছাত্রলীগ নেতা হিরণ মাহমুদ নিপুর কারামুক্তিতে বিলম্ব হওয়া নিয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা কারারক্ষীদের সাথে সংঘর্ষে জড়ায়। সংঘর্ষের একপর্যায়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা পালিয়ে গেলে কারারক্ষীরা ছাত্রলীগের ফেলে যাওয়া প্রায় অর্ধশত মোটর সাইকেল ভাঙচুর করেন। কারারক্ষীদের হামলায় সিলেটের ৫ ফটো সাংবাদিক আহত হন। আরো দুই ফটো সাংবাদিকের মোটর সাইকেলও ভাঙচুর করা হয়।