জগন্নাথপুরে বাল্য বিয়ের অপরাধে পিতার কারাদন্ড
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ জুলাই ২০১৬, ৮:৫৯ অপরাহ্ণ
জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) সংবাদদাতা :
জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের নারিকেল তলা গ্রামে দশম শ্রেণীতে পড়–য়া ছাত্রী সুলতানা আক্তার সালমাকে বাল্য বিয়ে দেয়ার অপরাধে ঐ ছাত্রীর পিতা নুরুল আমীন (৪৫) কে ৫দিনের বিনাশ্রম করাদন্ড, ১হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৫দিনের দন্ডাদেশ প্রদান করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
বুধবার বিকেল ৩টায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী আরিফুর রহমান এ দন্ডাদেশ প্রদান করেন।
গত শুক্রবার নারিকেল তলা গ্রামের প্রবাসী হাজি জহুর মিয়ার সদ্য ব্রিটিশ ভিসা প্রাপ্ত পুত্র ছালেহ আহমদের সাথে একই গ্রামের প্রবাসী নুরুল আমীনের মেয়ে স্কুল ছাত্রী সুলতানা আক্তার সালমার বিয়ে সম্পন্ন হয়। বাল্য বিয়েরর সংবাদটি পুরো গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির জানতে পারলে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা গ্রহণে সহকারী কমিশনার (ভুমি)কে নির্দেশ দেন।
বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় সহকারী কমিশনার (ভুমি) কাজী আরিফুর রহমান একদল পুলিশ নিয়ে নারিকেলতলা গ্রামে বাল্য বিয়ের সাথে জড়িতদের আটক করতে অভিযান চালান। প্রথমেই কনের পিতা নুরুল আমীনকে আটক করা হয়। এসময় বর ছালেহ আহমদ ও চাচাতো ভাই লাল মিয়া কনের দাদা হারুন মিয়া এবং আকদ্ পড়ানোর সাথে জড়িত নারিকেলতলা দারুস্সালাম জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আলা উদ্দিন পালিয়ে যায়। পরে আটককৃত কনের পিতা নুরুল আমীনকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী আরিফুর রহমান জানান, অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েকে বিয়ে দেয়ার অপরাধে বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন ১৯২৯ এর ৬ এর ধারায় তার পিতা নুরুল আমীনকে দন্ডাদেশ দেয়া হয়েছে এবং বর ছালেহ আহমদ ও মসজিদের ইমাম আলা উদ্দিনকে গ্রেফতার করার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।