সুনামগঞ্জে ৪০ জনের ত্রাণের তালিকায় মেম্বার পরিবারের ১৪ নাম!
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ মে ২০২০, ৭:৩৩ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সেলবরষ ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য শাজিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে করোনা পরিস্থিতে কর্মহীনদের জন্য সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত ত্রাণের তালিকায় ব্যাপক স্বজনপ্রীতিসহ মৃত ব্যক্তির নাম অন্তর্ভূক্ত করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার বিকালে একই ওয়ার্ডের মাটিকাটা গ্রামের বাসিন্দা রবিউল চৌধুরী নামে এক ব্যক্তি বাদি হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগে জানা গেছে, চলমান করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় মানবিক সহায়তা হিসেবে সরকারিভাবে উপজেলার সেলবরষ ইউনিয়নে ৬৮২ জন অসহায় কর্মহীন ব্যক্তির নামের তালিকা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়। এর মধ্যে ওই ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য শাজিদুল ইসলাম তার ওয়ার্ডের ৪০ জন ব্যক্তির নামের তালিকা জমা দেন। আর তাঁর দেয়া তালিকায় নিজের পুত্র, সহোদর ভাই, চাচাতো ভাই, ভাই বৌ, ভাতিজা, ভাতিজি, ভাগ্নে-ভাগ্নি ও শাশুড়ীসহ তার পরিবারের ১৪ জনের নাম ওই তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করেন তিনি। শুধু তাই নয় তার ওয়ার্ডের মাটিকাটা গ্রামের তাকাব্বল হোসেন নামে এক ব্যক্তি গত প্রায় ৬ মাস আগে মারা যান। কিন্তু ইউপি সদস্য শাজিদুল ইসলাম তার দেয়া তালিকায় ৪১৬ নম্বর ক্রমিকে ওই মৃত ব্যক্তির নামও অন্তভূর্ক্ত করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য শাজিদুল ইসলাম তাঁর ছেলে অলি আহম্মদসহ ৫-৭টি নাম ওই তালিকায় রয়েছে বলে স্বীকার করে তিনি বলেন, আমি ওই তালিকায় নিজেদের মধ্যে যেসব নাম দিয়েছি তারাও ত্রাণ পাওয়ার যোগ্য বলে আমি মনে করি। তবে তাকাব্বল হোসেন নামে মৃত ব্যক্তির নাম তালিকায় তিনি অন্তর্ভূক্ত করেননি বলে দাবি করেন।
উপজেলার সেলবরষ ইউপি চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা নূর হোসেন বলেন, ইউপি সদস্য শাজিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে এ আগেও এ ধরনের অনেক অভিযোগ আমার কাছে এসেছে এবং আমি তাকে একাধিকবার সতর্কও করেছি। তবে মৃত ব্যক্তির নাম তালিকায় থাকার বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি এসব অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোনতাসির হাসান এ ধরনের একটি অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অভিযোগটি তদন্ত করে ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।