মৌলভীবাজারে নিদারুণ কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন পরিবহন শ্রমিকরা
প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ মার্চ ২০২০, ৪:৪৯ অপরাহ্ণ
স্বপন দেব, মৌলভীবাজার:
প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধের জন্য গত ২৬ মার্চ থেকে সারাদেশে গণপরিবহন বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ নিষেধাঞ্জা চলবে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত। ফলে মৌলভীবাজারের সাতটি উপজেলায় বন্ধ রয়েছে সব ধরণের গণপরিবহন। কাজ না থাকায় নিদারুণ কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন জেলার প্রায় প্রায় ৫০ হাজার পরিবহন শ্রমিক।
রবিবার (২৯ মার্চ) মৌলভীবাজারের বিভিন্ন বাস স্ট্যান্ড ও অটোরিক্সা স্ট্যান্ডগুলো ঘুরে দেখা গেছে, স্ট্যান্ডগুলোতে বিরাজ করছে সুনসান নিরবতা। নেই কোনো ভিড়, নেই গাড়ির ইঞ্জিন আর হর্নের শব্দ, পরিবহণ শ্রমিকদের আড্ডা কিছুই নেই। স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে আছে সারি সারি গাড়ি, তবে সড়ক-স্ট্যান্ড সব জায়গা আজ জনমানবশূন্য।
মৌলভীবাজারের বেশ কয়েকজন পরিবহন শ্রমিক শহীদ, শুকুর, তাপশ, মুকুলের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দিনমজুর শ্রেণির এই মানুষগুলোর জীবিকা আসে প্রতিদিনের কাজের ওপর ভিত্তি করে। কিন্তু এখন তাদের সেই আয়ের পথ এখন বন্ধ। এমন অবস্থায় মৌলভীবাজারের পরিবহন বিভাগের ‘দিন আনে দিন খায়’ শ্রমিকরা আছেন সবচেয়ে বিপাকে। অনেক কষ্টে কাটছে তাদের দিন। এভাবে আরো কিছুদিন চললে পরিবার পরিজন নিয়ে তাদের না খেয়ে মরতে হবে।
কুলাউড়ার শ্রমিক মিজান, অরুণ এ প্রতিনিধিকে বলেন, গণপরিবহন বন্ধের সরকারি নির্দেশ আসার পর গত শনিবার পর্যন্ত ঋণ করে ৪-৫ দিনের মতো বাজার খরচ করে পরিবারকে দিয়েছি। কাল থেকে কী খাব আমাদের জানা নেই।
তারা বলেন, আমরা পরিবহন শ্রমিকরা প্রতিদিন যে টাকা আয় করি, তা প্রতিদিনই খরচ করে ফেলি, আমাদের জমানোর তো সুযোগ নাই। জমানো টাকা থাকলে পনের দিন না হয় এক মাস বসে খেতে পারতাম। এখন আমাদের কী অবস্থা হবে তা কি কেউ ভাবছে?
কয়েকজন পরিবহণ শ্রমিক আক্ষেপ করে বলেন, গবির মানুষজন তো আরেকজনের কাছে গিয়ে হাত পাততে পারে। কিন্তু আমরা তো সেটা করতে পারবো না, আত্মসম্মানবোধে লাগবে। তাই আমরা গরিবের চাইতেও বেশি বিপাকে। তাদের দাবি এ দু:সময়ে সরকার অন্যদেরমত তাদের কে খাদ্য সহায়তা না দিলে পরিবার নিয়ে না খেয়ে মরতে হবে।