জগন্নাথপুরে জমজমাট পশুরহাট
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ আগস্ট ২০১৯, ৮:০২ অপরাহ্ণ
জগন্নাথপুর সংবাদদাতা :
ঈদ-উল আজহাকে সামনে রেখে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় শেষ মুহুর্তে জমজমাট হয়ে উঠেছে পশুরহাট। বেচাকেনা ভাল হচ্ছে বলে জানান ক্রেতা বিক্রেতারা। খামারী ও কৃষকরা বিভিন্ন পশুরহাটে যাচ্ছেন কোরবানির গরু-ছাগল নিয়ে। ভারতীয় গরু না আসায় দেশী গরু দিয়ে চাহিদা পূরন করে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
জানা যায়, এবার উপজেলার অস্থায়ীভাবে সৈয়দপুরবাজার, নয়াবন্দরবাজার, বড়ফেচী বাজার, পল্লীগঞ্জবাজার, গোবিন্দবাজার, ইনাতগঞ্জ বাজার, দাওরাই বাজার, কেইনবাড়ি বাজার, মিরপুর বাজার, লামাটুকের বাজার, অর্জুন বাজার সহ মোট ১২টি অস্থায়ী পশুর হাট ও রসুলগঞ্জ বাজার ও রানীগঞ্জ বাজারে ২টি স্থায়ী পশুর হাটে পশু বেচাকেনা হচ্ছে। এসব হাটের মধ্যে আয়তন ও বেচাকেনায় উপজেলার রানীগঞ্জবাজার সব চেয়ে বড়। নিধারিত দিনে এসব হাটে গরু ও ছাগলের নিয়ে বসেন ব্যবসায়ীরা।
এবার কোরবানিতে প্রাধান্য পেয়েছে কৃষক ও স্থানীয় খামারে পালিত দেশি জাতের গরু-ছাগল। সেদিকে খেয়াল রেখেই হাটে পশু নিয়ে এসেছেন ব্যবসায়ীরা। ঈদের তিন দিন বাকী থাকায় প্রায় ক্রেতাগন তাদের পচন্দমত কুরবানীর পশু ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছেন। অনেকেই ঈদের শেষ বাজারের পশু ক্রয় করবেন বলে জানান। প্রত্যেক বাজারের লোক সমাগম লক্ষনিয়, পশু হাটে হাটার মত জায়গা পাওয়া যাচ্ছেনা। সব মিলিয়ে শেষ মর্হূতে জমজমাট পশুর হাট।
কুরবানীর পশু ক্রয় করতে আসা ক্রেতাগন জানান, কুরবানির জন্য পশু ক্রয় করতে বিভিন্ন হাটে তাদের পছন্দমত পশু দেখছেন। এবার দেশী গরুর দাম বেশী তারপরও দেশী গরু দিয়ে কুরবানী করতে চান তারা। স্থানীয় খামারে পালিত দেশি জাতের গরু-ছাগলের চাহিদার বেশী থাকায় বিক্রেতাগন বাজারের নিয়ে এসেছেন দেশীয় জাতের পশু। দাম বেশী পাবেন বলে আসা করেন বিক্রেতাগন
ঈদ-উল আজহাকে সামনে রেখে এবারও জগন্নাথপুরে পর্যাপ্ত পরিমাণে গবাদিপশু আসছে বলে জানার আশিরদারগন। গো-খাদ্যের দাম বেশি থাকায় এবার খামারীদের খরচ একটু বেশি পড়ছে। ফলে গতবারের তুলনায় এবার গরু-ছাগলের দাম একটু বেশি পড়বে বলেও জানান তারা।