বালাগঞ্জে জমে উঠেছে পশুর হাট, বড় ষাঁড়ের দাম ৩ লাখ টাকা
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ আগস্ট ২০১৯, ১:১২ পূর্বাহ্ণ
রজত দাস ভুলন,বালাগঞ্জ:
কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে জমে উঠেছে পশুর হাট। স্থায়ী হাটের পাশাপাশি অস্থায়ী গরুর হাট বসানো হয়েছে। গত ২ বছর ধরে বালাগঞ্জ বাজারে পশুর হাট স্থায়ী হলেও বন্যার কারনে এবার এম এ খান অডিটোরিয়ামে প্রাঙ্গনে বসেছে এ বিরাট গরু ছাগলের হাট। রিফাত পুর গ্রামের ইয়াওর মিয়ার ভাই পুতুল মিয়া বড় একটি ষাঁড় এনেছেন বিক্রির জন্য যা ৩ লাখ টাকা হলে বিক্রি করবেন বলে জানান।
পশুর হাটে ব্যাপক গরু ছাগল উঠেছে বিক্রি ও হচ্ছে। পবিত্র ঈদ-উল-আযহা সামনে রেখে বালাগঞ্জ উপজেলার সর্বত্র শুরু হয়েছে ঈদের কেনাকাটা। রোদ-বৃষ্টি, গরমকে উপেক্ষা করেই মানুষ ছুটছে ঈদ বাজারের দিকে। ঈদের আর বাকি ৩ দিন। মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল- আযহা। আর এটা মাথায় রেখেই ব্যবসায়ীরাও ক্রেতার পছন্দ অনুযায়ী সাজিয়ে রেখেছেন তাদের দোকান।তরুন-তরুনীরা দিনব্যাপী ভিড় জমাচ্ছেন দোকানগুলোতে। নতুন ডিজাইন আর বিভিন্ন মডেলের পোশাক কিনতে শুরুতেই তাদের উপচে পড়া ভিড়।
উপজেলার বিভিন্ন ছোট-বড় হাট বাজারে ঈদের কেনা কাটায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজন। এছাড়া ফুটপাতের ব্যবসায়ীরাও কাপড়ের সমাহার নিয়ে বসেছেন বিভিন্ন হাট-বাজারে। অল্প লাভে বেশি বিক্রির আশায় বেশির ভাগ পোশাক ব্যবসায়ীদের প্রথম টার্গেট হচ্ছেন মধ্যবিত্ত ক্রেতারা। এখন অনেকে ঈদের মার্কেট করা শুরু করেছেন। এর কারণ হলো কোরবানিরঈদ যখন সামনে ঘনিয়ে আসে, তখন মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের প্রচন্ড ভিড় বাড়তে থাকে। এ কারণে অনেক ক্রেতারা ঝামেলা এড়াতে আগে থেকেই ঈদের মার্কেটের কাজ শেষ করেন। মার্কেটগুলোতে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজনের পাশাপাশি যুবক-যুবতী, স্কুল-কলেজের ছাত্র/ছাত্রীসহ প্রবাসীর স্ত্রী সন্তানদের কেনাকাটা লক্ষণীয় ।বিভিন্ন দোকানে গিয়ে দেখা গেছে, গত বছরের তুলনায় এই বছর প্রয়োজনীয় জিনিষপত্রের দাম সহনীয়।
ব্যবসায়ীদের সাথে আলাপকালে তিনি জানান, দাম সাধ্যের মধ্যে থাকায় তার দোকানে বিভিন্ন ডিজাইনের কাপড়ের চাহিদাটা একটু বেশি। তাই সকল ক্রেতার রুচিশীল পছন্দের কথা মাথায় রেখে তার দোকান সাজিয়েছেন নতুন নতুন ডিজাইনের কাপড় দিয়ে। এদিকে জুতা ও কসমেটিক্স উপহার দিতে অনেক ব্যবসায়ী প্রস্তুত রেখেছেন তাদের দোকান। তবে এখনো পুরোদমে কেনাকাটা শুরু হয়নি বলেও জানান ওই ব্যবসায়ী। এই ঈদে ক্রেতারা তাদের প্রিয়জনকে কি দেবেন, তারও তালিকা তৈরি করেছেন অনেকেই। নারীদের পোশাক শাড়ি, থ্রি-পিছ, শিশুদের পোশাক, থান কাপড়ের দোকানসহ ঘর সাজানোর বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য। বিশেষ করে বাজার গুলোতে বিকেলে ক্রেতাদের ভিড় বেশি দেখা যায়।বেশির ভাগ পরিবার দল বেঁধে ঈদের কেনাকাটা করতে আসেন। বাবা-মায়ের হাত ধরে ছোট্ট শিশুরাও নিজেদের পছন্দের প্রয়োজনীয় জিনিষ খুঁজে নিচ্ছেন দোকান গুলোতে থেকে। ঈদের কেনাকাটায় ছেলেদের তুলনায় পিছিয়ে নেই মেয়েরাও। দাম সাধ্যের মধ্যে থাকায় আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবীদের সাথে নিয়ে অনেকেই খুঁজে নিচ্ছেন পছন্দের জামা কাপড়।
বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নাজমুল সাকিব জানান, ঈদুল আযহায় যাতে কোনধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য সকল ধরনের প্রস্তুুতি রয়েছে। অনুমতি ছাড়া কোথাও হাট বসলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।