ঈদের ছুটিতে ঘুরে আসুন মিনি কক্সবাজার খ্যাত হাকালুকি হাওরে
প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ জুন ২০১৭, ১২:৪২ পূর্বাহ্ণ
সিলেটসহ ৬ উপজেলা জুড়ে অবস্থিত হাকালুকির ‘মিনি কক্সবাজার’ নামটি পর্যটকদেরই দেওয়া। শুধু ঈদ কেন্দ্রিক নয়, বিভিন্ন সময়ে হাকালুকির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে দূর-দুরান্ত থেকে ছুটে আসেন পর্যটকরা। এমনকি শিক্ষা সফরেও এখানে আসেন বিভিন্ন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
হাকালুকির দৃশ্য যেখান থেকে অবলোকন করা হয়, সেই ঘিলাছড়া জিরো পয়েন্টে রয়েছে শতবর্ষী বটগাছসহ বৃক্ষরাজি। ঘিলাছড়া বাজারের পাশেই রয়েছে হযরত শাহ জালাল (র.) এর সফরসঙ্গী ৩৬০ আউলিয়ার অন্যতম হযরত গোলাপশাহ (র.) এর মাজার। আগন্তুকদের অনেকে ভ্রমণের সময় মাজার জিয়ারত করে যান।
বর্ষা মৌসুমে হাওরের প্রাকৃতিক পরিবেশ, জীব বৈচিত্র দেখে মুগ্ধ হন পর্যটকরা। কখনো বাতাসের ক্ষীপ্রগতি উত্তাল করে তুলে হাকালুকি হাওরকে। ঢেউয়ের সঙ্গে মিতালী করে মাছ ধরেন জেলেরা। আবার কখনো নীরব নিস্তব্ধ জলরাশি শীতল পাটি বিছিয়ে যেনো কাছে টানে পর্যটকদের। তাইতো স্বচ্ছজলে আকৃষ্ট হয়ে সাঁতার কাটতে নামেন অনেকে। আর সাঁতার না জানা লোকদের জন্য পর্যটকরা যেনো ভ্যানগার্ড হয়ে কাজ করেন বিনিময় ছাড়াই।
যাতায়াত: সিলেট কোর্ট পয়েন্ট থেকে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা সদরের দূরত্ব মাত্র ২৩ কিলোমিটার। যাত্রীবাহী বাসে ভাড়া নেয় ২৫ টাকা। আর সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ৩০ টাকা। সময় লাগে প্রায় আধাঘণ্টা। আর ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে হাকালুকি জিরো পয়েন্টের দূরত্ব আরও ৯ কিলোমিটার। সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ১শ’ টাকা রিজার্ভ ভাড়ায় যেতে পারেন ঘিলাছড়া জিরো পয়েন্টে। যেখানে মিশে গেছে হাকালুকি হাওরের পশ্চিম তীরের গন্তব্য।
কোথায় থাকবেন: সিলেটে রয়েছে বিভিন্ন মানের হোটেল, মোটেল, কটেজ। পর্যটকরা তাদের পছন্দের যেকোনো জায়গায় অবস্থান করতে পারেন। সব মিলিয়ে পরিবারের সবাইকে নিয়ে সিলেট ভ্রমণে আসলে ‘মিনি কক্সবাজার’ খ্যাত হাকালুকি ঘুরে গেলে ভ্রমণের আনন্দ আরও অনেকগুণ বেড়ে যাবে।