নগরজুড়ে আরিফের অ্যাকশন
প্রকাশিত হয়েছে : ০২ জুন ২০১৭, ৩:২৮ পূর্বাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
তিনদিনের বেঁধে দেয়া আল্টিমেটাম অতিক্রান্ত। এবার নিজেই নামলেন নগরীর ফুটপাতকে দখলমুক্ত করার অভিযানে। গতকাল বৃহস্পতিবার নগরজুড়ে ছিলো আরিফের ফুটপাত দখলমুক্ত করার অ্যাকশন। মেয়র নির্বাচিত হয়ে দখলমুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন আরিফুল হক চৌধুরী। সে লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছিলেন তিনি। এতে করে নগরবাসীর বাহবা পেয়েছিলেন আরিফ। তবে শাহ এসএম কিবরিয়া হত্যা মামলায় আরিফ কারান্তরীণ হওয়ার পর নগরীর ফুটপাত দখলে আবার চলে যায় হকারদের হাতে। এতে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে থাকেন নগরবাসী।
তবে অবশেষে আদালতের নির্দেশে রাজপথে নেমে গতকাল সিলেট নগরীর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি এলাকার ফুটপাত দখলমুক্ত করেছেন আরিফ।
দীর্ঘদিন ধরে সিলেট মহানগরীর বিভিন্ন এলাকার ফুটপাত হকার, ভ্রাম্যমাণ ও মৌসুমী ব্যবসায়ী এবং স্থায়ী ব্যবসায়ীরা অবৈধভাবে দখল করে রেখেছেন। তাদের কবল থেকে ফুটপাত দখলমুক্ত করতে একাধিকবার অভিযান চালানো হয়। তবে অভিযানের পরক্ষণেই তারা দখল করে নেন ফুটপাত। এতে চলাচলে ভোগান্তির মুখে পড়তে হয় নগরবাসীকে।
গত সোমবার (২৯ মে) সিলেটের আদালত প্রাঙ্গণসহ জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও সিটি কর্পোরেশন কার্যালয় সংলগ্ন ফুটপাতে অবৈধ দখলদার, নেপথ্যে থাকা দখলদার পক্ষের ব্যক্তিদের নাম, ঠিকানা ও পরিচয় সনাক্তকরণের লক্ষ্যে সিলেটের বিভিন্ন সেক্টরের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে জরুরী বৈঠক করে সিলেট সিটি কর্পোরেশন।
সোমবারের সভায় নেয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৩ দিনের মধ্যে সিলেটের আদালত প্রাঙ্গণসহ জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও সিটি কর্পোরেশন কার্যালয় সংলগ্ন ফুটপাতে অবৈধ দখলদারদের সরে যাওয়ার জন্য সময়সীমা বেঁধে দিয়ে মাইকিং করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিল।
এর আগে সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির একটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২৫ মে বৃহস্পতিবার সিলেটের মুখ্য মহানগর বিচারিক হাকিম মো. সাইফুজ্জামান হিরো জনগুরুত্বপূর্ন প্রতিষ্ঠানের সংলগ্ন ফুটপাতে অবৈধ দখলদার, নেপথ্যে থাকা দখলদার পক্ষের ব্যক্তিদের নাম, ঠিকানা তদন্ত করে সাত দিনের মধ্যে তা আদালতে দাখিল করতে সিটি কর্পোরেশনকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। এ কাজে সিটি কর্পোরেশনকে সহায়তা করতে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।