জেলা পরিষদ নির্বাচন : এমপি এহিয়ার চমক, জয়ী আশিক-রাজী
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ মে ২০১৭, ১২:৫১ পূর্বাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
চমক দেখালেন সাংসদ ইয়াহইয়া চৌধুরী এহিয়া। নিজের ভাই ও নিজের দলের নেতা সিলেট জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী। জেলা পরিষদের এ নির্বাচনে অনেকটা বাজিমাত দেখালেন সিলেট-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ইয়াহইয়া চৌধুরী এহিয়া। গতকাল মঙ্গলবার ৯নং ওয়ার্ডে (বিশ্বনাথ) সদস্য পদে তাঁর ছোট ভাই সহল আল রাজী চৌধুরী ও গত ২৫ এপ্রিল পরিষদের ৮ নং ওয়ার্ডে (ওসমানীনগর) সদস্য পদে জাতীয় পার্টির নেতা আশিক মিয়া সিলেট জেলা পরিষদের অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।
নিজ আসনের ওসমানীনগর ও বিশ্বনাথ এলাকায় নিজের ভাই ও নিজের দলের নেতা নির্বাচিত হওয়ায় সাংসদ এহিয়া এখন ফুরফুরে মেজাজে। এ বিজয়ে অনেকেই জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রাণ্যচাঞ্চল্য ফিরে আসবে বলে ধারণা করছেন। নিজ নির্বাচনী এলাকায় সাংসদ ইয়াহইয়া চৌধুরী এহিয়ার অবস্থান আরো দৃঢ় ও শক্তিশালী হবে বলে মনে করছেন তাঁর দলের নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার (২৩ মে) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সিলেটের বিশ্বনাথের স্থানীয় রামসুন্দর অগ্রগামী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে শান্তিপূর্ন ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়। এই ওয়ার্ডে ১০৭ জন ভোটারের বিপরীতে সদস্য পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করেন ৭জন প্রার্থী। ১০৭ ভোটের মধ্যে ১০৩জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। সাত প্রার্থীর মধ্যে (বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীকে) ৫৫ ভোট পেয়ে সহল আল রাজী চৌধুরী বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটম প্রতিদ্বন্ধী ওই আসনের সাবেক এমপি নিখোঁজ বিএনপি নেতা এম.ইলিয়াস আলীর একান্ত সহকারী ও জেলা বিএনপি নেতা ময়নুল হক (হাতি মার্কা) ভোট পেয়েছেন ১৫টি।
এই ওয়ার্ডে অপর ৫ প্রার্থীর মধ্যে আ’লীগ নেতা কিনু মিয়া (অটোরিকশা প্রতিক) ১৪টি, রামাপাশা ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক আহবায়ক আবুল কাহার (ক্রিকেট ব্যাট) ৭টি, সাংবাদিক মোসাদ্দিক হোসেন সাজুল (টিউবওয়েল) ৫টি, উপজেলা আ’লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ফখরুল আহমদ মতছিন (তালা) ৪টি এবং সাংবাদিক প্রনঞ্জয় বৈদ্য অপু (ঘুড়ি) ভোট পেয়েছেন ৩টি।
এর আগে গত ২৫ এপ্রিল জেলা পরিষদের ৮ নং ওয়ার্ড ওসমানীনগর উপজেলার স্থগিতকৃত সদস্য (পুরুষ) নির্বাচনে জাতীয় পার্টির আশিক মিয়া (অটোরিকশা) প্রতীক নিয়ে সর্বোচ্চ ৪৩ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি ছিলেন সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি পংকজ পূরকায়স্থ টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৮ ভোট। নির্বাচনে ৯জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করেন। গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর সিলেট জেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে মনোনয়ন বাতিল হওয়া সদস্য প্রার্থী সৈয়দ এনামুল হক উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন (নং ১৫৮১০/২০১৬) দায়ের করে রুল এবং অন্তবর্তীকালীন আদেশ লাভ করলে নির্বাচন কমিশন ৮নং ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য পদের নির্বাচনে স্থগিতাদেশ জারি করে। শেষ পর্যন্ত এই প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধতা পেলেও নির্বাচনে মাত্র ১৫ ভোট পেয়েছেন তিনি।