জীবন জয়ের গান
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ মে ২০১৭, ৬:৩৬ অপরাহ্ণ
সারওয়ার চৌধুরী:
বয়স ঘোড়ার গতি বিরামহীন…কোন ক্লান্তি ,অবসাদ তাকে স্পর্শ করতে পারে না। এই ঘোড়ার গতি হ্রাস কল্পে সাধনা আরাধনা তপস্যার শেষ নেই।শত সাধনা তপস্যা করেও তার লাগাম টেনে ধরা সম্ভবপর হয় না। গতির ক্ষীপ্রতার কাছে একদিন সবাইকে হার মানতেই হয়…. তবুও আমাদের হুশ হয়না, পৃথিবীর বুকে চিরঞ্জীব হওয়ার সাধনা চলে নিরলস।মানুষের স্বাভাবিক আয়ু ষাট,সত্তর,আশি ,কিংবা নব্বই ।শতক পূর্ণ কারীর সংখ্যা নিতান্তই নগণ্য ,হাতে গোনা । কেউ যদি আশি,নব্বই কিংবা শতবর্ষ আয়ু পেয়েও যান,তারপরও ঐ বয়স লগ্ন কালে স্বাভাবিক গতিময়তা ,ছন্দময়তা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অনুপস্তিত থাকে।ডাক্তার,কবিরাজ,সেবা শশ্রুষা অথবা পরনির্ভরশীলতার মাধ্যমেই চলতে হয়।জীবনকে তাই উপভোগ করতে হবে পরিকল্পনা মাফিক।পরম করুণাময়ের উপর বিশ্বাস রেখে প্রস্তুতি নিতে হবে পরকালের জন্য ।জানি এখানেও অনেক মত,অভিমত,বিশ্বাস-অবিশ্বাস,মতবিরোধ থাকবে ।যে পরকালে বিশ্বাসী ,সে যে ধর্মেরই হোক তার ধর্মমতে প্রস্তুতি নেবে,তবে পরকালে বিশ্বাসী হয়ে ইহলোকে বৈরাগী হওয়াকে কোন ধর্মই সমর্থন করে না,বরং ইহকাল থেকে নিজের কর্মের মাধ্যমে ,সৎ-স্বাভাবিক জীবন চালনা করে পরকালের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশনাই সব ধর্ম দিয়ে থাকে ।আর যারা ধর্মে বিশ্বাস রাখে না,তাদের উচিত নিজের চিন্তা -ভাবনা,জীবন-দর্শন যৌক্তিক ভাবে উপস্তাপন করা।কোন ভাবেই অন্যের বিশ্বাসের উপর আঘাত হানার অধিকার কারও নেই।নিজের যুক্তি -বিশ্বাসকে প্রতিস্টা দিতে অন্যের বিশ্বাস নিয়ে ব্যঙ্গ- বিদ্রুপ ,কটাক্ষ করার অধিকার কারও নেই।কেউ যদি মুক্ত চিন্তার দোহাই দিয়ে কারও বিশ্বাস নিয়ে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করার মাধ্যমে নিজের উপস্থিতি জানান দিতে গিয়ে কোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতির শিকার হন,সেটার জন্য সে নিজেই দায়ী।বিশ্বাস নিয়েই মানুষ বেচে থাকে, বিশ্বাসই মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল, এই বিশ্বাস কে খন্ডন করতে প্রয়োজন যুক্তি ,শালীনতা। অভদ্রতা কিংবা উস্কানী দারা নয়।তাই বয়সের গন্ডি যাইহোক ,আমাদের উচিত একবারের জন্য হলেও সকল ব্যস্ততাকে পেছনে ফেলে নিজের জন্যে একটু নিরিবিলি পরিবেশ তৈরী করে জীবনের হিসাব নিকাশ করা। ব্যক্তি স্বার্থের উর্ধে উঠে কিভাবে মানবতাকে উপকৃত করা যায় ,সেদিকে মনোনিবেশ করা।
লেখকঃ সারওয়ার চৌধুরী,
আমেরিকা প্রবাসী।