কে গড়বেন ইতিহাস ?
প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ৮:০৫ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
৬ মার্চ অনুষ্টিত হবে ওসমানীনগর উপজেলা পরিষদের প্রথম নির্বাচন। এ নিয়ে নির্বাচনী এলাকাসহ দেশ বিদেশের মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। চলছে আলোচনা। চায়ের কাপে ঝড় উঠছে। কে হবেন প্রথম উপজেলা চেয়ারম্যান। হবেন ইতিহাসের অংশ। কার গলায় বিজয়ের মালা উঠবে। আতাউর, ময়নুল, জগলু না শিব্বির? সমর্থকরা নিজ নিজ দলীয় প্রার্থীকে জয়ী করতে মরিয়া। সবার এক কথা জয়ের মালা গলায় দিয়ে মর্যাদা রক্ষা করতে হবে।
আওয়ামীলীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আতাউর রহমান তাজপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান। মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন প্রথম দিন থেকেই। ভোটের মাঠে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এই ব্যক্তি বিরোধীদলের পাশাপাশি নিজ দলের একটি অংশকেও মোকাবেলা করতে হচ্ছে। নির্বাচন এলেই স্থানীয় আওয়ামীলীগ হয়ে পরে দ্বিখন্ডিত। যদিও তার সমর্থকরা মনে করেন শেষ পর্যন্ত সকল অভিমান ভুলে আওয়ামী আদর্শের নেতাকর্মীরা নৌকায় ভোট দিবেন। আর তিনিই হবেন ওসমানীনগর উপজেলার প্রথম চেয়ারম্যান।
বিএনপি মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ময়নুল হক চৌধুরী জেলা বিএনপি নেতা। একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন মাঠে। দলের ভেতর থাকা সকল মান অভিমান ভুলে বিএনপি এখন পুরোদস্তুর নির্বাচনমুখী। আওয়ামীলীগে থাকা সমস্যাকে কাজে লাগিয়ে জয় তুলে নিতে বিএনপি এখন মরিয়া। স্থানীয় নেতাদের প্রায় সবাই এখন একযোগে নির্বাচনী মাঠে নেমে পড়েছেন ধানের শীষের বিজয় সুনিশ্চিত করতে। উপজেলার প্রথম চেয়ারম্যান হয়ে তিনি ইতিহাসের অংশ হবেন আশাবাদ ব্যক্ত করেন বিএনপি দলীয় সমর্থকরা।
নাগরিক কমিটির ব্যানারে নির্বাচন করছেন সাবেক জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি জগলু চৌধুরী। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্থানীয় আওয়ামীলীগের একাংশকে নিয়ে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন সাবেক এই ছাত্রনেতা। এলাকার প্রতিটি ইউনিয়ন গ্রাম মহল্লা চষে বেড়াচ্ছেন স্থানীয় আওয়ামীলীগের বড় একটি অংশকে সাথে নিয়ে। নৌকা ও ধানের শীষকে পরাজিত করে উপজেলার প্রথম চেয়ারম্যান হবেন তিনি এটাই মনে করেন তার সমর্থকরা।
জাতীয় পার্টি মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রবাসী শিব্বির আহমেদ শিবলী। সাবেক ছাত্রসমাজ এই নেতা এরশাদের লাঙ্গল নিয়ে রয়েছেন নির্বাচনী মাঠে। প্রধান দুই দল আওয়ামীলীগ বিএনপি ও নাগরিক কমিটির চেয়ারম্যান প্রার্থীকে পরাজিত করা তার জন্য কঠিন হবে। তার সমর্থকরা মনে করেন নির্বাচনে অংশ নেওয়াই বড় কথা। জয়-পরাজয়কে স্বাভাবিকভাবে মেনে নেওয়াই গণতান্ত্রিক রীতি।
কে হবেন উপজেলা চেয়ারম্যান ? এ নিয়ে উপজেলাবাসীর মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাস-উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন বাজারের চায়ের দোকানে কে হবেন প্রথম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সে হিসাব-নিকাশ করছেন ভোটাররা।আগামী ৬ মার্চ চুড়ান্ত ফয়সালা করবেন উপজেলার ৮ ইউনিয়নের এক লাখ ২৭ হাজার ১৭ জন ভোটার (গত ইউপি নির্বাচনের হিসেব অনুযায়ী) ।