সিলেটে টিলা ধ্বসে মারা যাওয়া দুই শ্রমিকের লাশের খোঁজ মিলল নেত্রকোনায়
প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ জানুয়ারি ২০১৭, ২:২৯ পূর্বাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে শাহ আরেফিন টিলা ধ্বসে মারা যাওয়া শ্রমিকদের লাশ ঘটনার পরই সরিয়ে ফেলা হয়েছিলো। ফলে ছয় জন মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও সোমবার সারাদিনেও কোনো লাশ খুঁজে পায়নি পুলিশ। অবশেষে মঙ্গলবার সকালে নেত্রকোনার পূর্বধলায় দুটি লাশের খোঁজ পেয়েছে পুলিশ।
দুটি লাশের খোঁজ পাওয়ার তথ্য জানিয়ে পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অভি রঞ্জন বলেন, মঙ্গলবার সকালে পূর্বধলার কান্দাপাড়া গ্রাম থেকে আবদুল কুদ্দুস ও জারিয়া গ্রাম থেকে খোকন মিয়া নামের দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশকে না জানিয়েই মরদেহ দাফনের ব্যবস্থা করা হয়েছিলো জানিয়ে ওসি বলেন, ময়না তদন্তের পর এদের দাফন সম্পন্ন হবে।
এদিকে, মঙ্গলবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা হাকিম (এডিএম) আবু সাফায়াৎ মুহম্মদ শাহেদুল ইসলাম শ্রমিকদের লাশ খুঁজে বের করে টিলা কাটায় শ্রমিক নিযুক্তকারীদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করতে স্থানীয় পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।
তবে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত এ ঘটনায় মামলা দায়ের হয়নি। কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি বায়েস আলম জানিয়েছেন, মাশলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
পরিদর্শনকালে এডিএম সাংবাদিকদের বলেন, টিলা এলাকা থেকে পাথর উত্তোলন করতে দেওয়া হবে না। উত্তোলন চললেই অভিযান চালানো হবে। তিনি আরও বলেন, ‘এ টিলা আর এখন কোনো টিলা নেই, কঙ্কাল বানিয়ে ফেলা হয়েছে। এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের খোঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে।’
সোমবার ভোরে শাহ আরেফিনের টিলার অর্ন্তগত মটিয়ার টিলা কেটে পাথর উত্তোলনকালে ওই টিলা ধ্বসে পড়ে। এতে ছয়জন শ্রমিক মারা যান বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। তবে পুলিশ দুজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে।
ছয়জনের মারা যাওয়ার কথা শুনেছেন জানিয়ে সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত সুপার (গণমাধ্যম) সুজ্ঞান চাকমা বলেন, তবে আমরা এখন পর্যন্ত দু’জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হতে পেরেছি।
শ্রমিক নিহতের ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা হাকিমকে দায়িত্ব দেন সিলেটের জেলা প্রশাসক। এছাড়া জেলা পুলিশের পক্ষ থেকেও আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।