ধেয়ে আসছে উল্কা বৃষ্টি, দেখা যাবে খোলা আকাশে
প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ আগস্ট ২০১৬, ৮:২৬ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক :
আগামী বৃহস্পতিবার থেকে রাতের আকাশে দেখা যাবে উল্কাবৃষ্টি। ঝরে পড়বে প্রচুর আলোর ফুলঝুরি। সেগুলো ছড়িয়ে যাবে আকাশের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে।
১১ অাগস্ট মধ্য রাতের পর থেকে ১২ অাগস্টের ভোর আর ১২ আগস্ট মধ্য রাতের পর থেকে ১৩ অাগস্টের ভোর পর্যন্ত যে কোন সময় আকাশে খালি চোখেই দেখা যাবে উল্কাবৃষ্টি। গত সাত বছরে এত ভাল ভাবে উল্কাবৃষ্টি দেখা যায় নি বিশ্বে কোথাও। ১৮ বছর আগে ১৯৯৮ সালে রাতের আকাশে এত ভাল ভাবে আলোর ফুলঝুরি দেখা গিয়েছিল।
ভারী মেঘে আকাশ ঢেকে না থাকলে বা ওই দুই রাতে জমাট বাঁধা অন্ধকার এলাকায় থাকলে আকাশে দেখা যাবে ওই আলোর হাসি। ‘সুইফ্ট টার্টল’ একটি ধূমকেতুর কারণে ঘটবে ঘটনাটি। ধূমকেতুর নিউক্লিয়াসের কিছুটা অংশ সূর্যের টানে ছিটকে বেরিয়ে আসে শরীর থেকে। সূর্যকে যে কক্ষপথে আবর্তন করছে ধূমকেতুটি, প্রতি বছরই আগস্টে সেই কক্ষপথে অল্প কিছু সময়ের জন্য ঢুকে পড়ে পৃথিবীর কক্ষপথ।
আর ঢুকে পড়লেই, পৃথিবীর অভিকর্ষ বলের কারণে ধূমকেতুর নিউক্লিয়াস থেকে ছিঁড়ে-ছিটকে বেরিয়ে আসা খণ্ডগুলো ছুটে আসে পৃথিবীর দিকে। ঘণ্টায় প্রায় ১ লক্ষ ৩২ হাজার মাইল গতিবেগে ছুটে আসে এগুলো।
কিন্তু পৃথিবীর ওপর বিছানো রয়েছে যে বায়ুমণ্ডলের চাদর সেটি বায়ুর কোটি কোটি কণা দিয়ে ভরা। ফলে ধূমকেতুর নিউক্লিয়াসের খণ্ড-গুলোর সঙ্গে বায়ুমণ্ডলের কণাগুলোর ধাক্কাধাক্কি হয় সজোরে। জোরে ধাক্কাধাক্কির ফলে জ্বলে ওঠে আগুন। অত্যন্ত গরম হয়ে ওঠে আশপাশের এলাকা। আর আমরা আকাশে দেখতে পাই আলোর ফুলঝুরি বা আলোর ঝর্নাধারা। এটাই উল্কাবৃষ্টি।
ওই উল্কাবৃষ্টির সময় ধূমকেতুটির পিছনে যে নক্ষত্রপুঞ্জটি (কনস্টেলেশন) থাকে, সাধারণত তার নামেই ওই উল্কাবৃষ্টির নাম দেওয়া হয়। ১১ আর ১২ অগস্ট যে উল্কাবৃষ্টি হবে, তার নাম ‘পারসেড মেটিওর শাওয়ার’। যেহেতু উত্তর-পূর্বের আকাশে ওই সময় ধূমকেতুটির পিছনে থাকবে ‘পারসিয়াস’ নক্ষত্রপুঞ্জ।
এই উল্কাবৃষ্টির ঘটনাকে এতটা গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে কেন জানতে চাইলে নাসার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘সাধারণত প্রতি ঘণ্টায় এমন আলোর ফুলকি আকাশে যতগুলো দেখা যায়, গাণিতিক হিসেব বলছে, এ বার দেখা যাবে প্রায় তার দ্বিগুণ। ঘণ্টায় ২০০টি। ২০০৯ সালের পর এই প্রথম ‘পারসেড উল্কাবৃষ্টি’ এতটা জোরালো ভাবে দেখা যাবে’।