ওসমানীনগরে দোকান থেকে জুয়েলার্স শ্রমিকের লাশ উদ্ধার
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ১১:২৫ অপরাহ্ণ

ওসমানীনগর প্রতিনিধি:
সিলেটের ওসমানীনগরে উজ্জ্বল বনিক(৪৫) নামের এক জুয়েলার্স শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (০৪ নভেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার তাজপুরবাজারের স্কুল রোডের শ্রী গোবিন্দ জুয়েলার্স থেকে উজ্জ্বলের লাশ উদ্ধার করে ওসমানীনগর থানা পুলিশ। মৃত জুয়েলার্স শ্রমিক হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার মারকুলিবাজারের কানু বনিকের ছেলে। তিনি দীর্ঘ ২বছর ধরে তাজপুর বাজারের স্কুল রোডের সন্তোষ চক্রবর্তীর মালিকানাধীন শ্রী গোবিন্দ জুয়েলার্সে স্বর্ণের কারিগর হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো রাতের খাবার খেয়ে উজ্জল বনিক দোকানেই দরজা ভেতর দিকে তালা লাগিয়ে শুয়ে পরেন। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দোকান মালিক উপজেলার গোয়ালাবাজার ইউপির জায়ফরপুর গ্রামের সুবোধ চক্রবর্তীর ছেলে সন্তোষ চক্রবর্তী দোকানে গিয়ে কারিগর উজ্জ্বলকে ডাকাডাকি করে কোনো সারা শব্দ পাননি। বাড়িতে থাকা অন্য আরেকটি চাবি নিয়ে এসে আশপাশ দোকানের মালিক ও উজ্জ্বলের এক বন্ধুকে সাথে নিয়ে দোকান খুলে উজ্জ্বলের মৃতদেহ খাটের উপর পরে থাকতে দেখেন। বিষয়টি ওসমানীনগর থানা পুলিশকে জানালে বিকেল ৩টার দিকে মৃতের স্বজন ও দোকান মালিককে সাথে নিয়ে ওসমানীনগর থানা পুলিশ সুরতহাল শেষে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
মৃতের চাচাতো ভাই সমিরন বনিক বলেন, প্রথমে তাজপুর থেকে জানতে পারি আমার চাচাতো ভাই অসুস্থ, পরে শুনলাম মারা গেছে এই খবর পেয়ে আসলাম। পুলিশ লাশ উদ্ধারের সময় তার গায়ে আঘাতের কোনো চিহ্ন দেখা যায়নি ময়না তদন্তে কোনো কিছু পাওয়া গেলে দেখা যাবে।
দোকান মালিক সন্তোষ চক্রবর্তী বলেন, রাতে দোকানে ঘুমিয়েছিলেন আমাদের কারিগর উজ্জ্বল বনিক। সকালে দোকানে এসে ডাকাডাকি করে সারাশব্দ না পেয়ে আমার বাড়িতে থাকা আরেকটি চাবি দিয়ে দোকান খুলে দেখি মারা গেছেন।
সুরতহালে সহায়তাকারী ওসমানীনগর থানার এসআই আশীষ তালুকদার বলেন, লাশের সুরতহালে শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।






