নবীগঞ্জে আবারও পিছিয়েছে বিএনপির কাউন্সিল, সরে দাঁড়ালেন শেখ সুজাত
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ জুলাই ২০২৫, ৫:০৭ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর দ্বিবার্ষিক কাউন্সিল আবারও স্থগিত হয়েছে। আগামী ৯ জুলাই অনুষ্ঠিতব্য কাউন্সিল ৭ম বারের মতো পিছিয়ে দিয়ে নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ জুলাই। নতুন রিসিডিউল অনুযায়ী, উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের বাংলাবাজারস্থ সোনার বাংলা মডেল হাইস্কুল সংলগ্ন জাঙ্গালিয়া মাঠে অনুষ্ঠিত হবে বহুল প্রতীক্ষিত এই সম্মেলন।
কাউন্সিল ঘিরে ইতোমধ্যে ৫টি গুরুত্বপূর্ণ পদে মনোনয়নপত্র বিতরণ, যাচাই-বাছাই শেষে মোট ১৬ জন প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। এরমধ্যে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন দুই প্রবীণ নেতা—সাবেক এমপি শেখ সুজাত মিয়া (আনারস প্রতীক) এবং সাবেক উপজেলা সভাপতি সৈয়দ মতিউর রহমান পিয়ারা (দোয়াত-কলম প্রতীক)।
তবে গত বুধবার হঠাৎ করেই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান শেখ সুজাত মিয়া। বিষয়টি তিনি নিজেই নিশ্চিত করে জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ফলে সভাপতি পদে এখন একক প্রার্থী সৈয়দ মতিউর রহমান পিয়ারা।
নতুন রিসিডিউল অনুযায়ী শুক্রবার ৩ জুলায় সকাল ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত মনোনয়ন ফরম বিতরণ, দুপুর ২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত দাখিল, ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত যাচাই-বাছাই অনুষ্ঠিত হবে। শনিবার ৪ জুলায় সকাল ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহার এবং দুপুর ২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত প্রতীক বরাদ্দ শেষে বিকাল ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করা হবে। দলের সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের মোট ভোটার সংখ্যা ৯২৩।
বাকি পদগুলোতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন: সিনিয়র সহ-সভাপতি: মো. বয়েতুল্লাহ মিয়া, মুশফিকুজ্জামান চৌধুরী নোমান, মো. খসরু চৌধুরী। সাধারণ সম্পাদক: মজিদুর রহমান মজিদ, শিহাব আহমদ চৌধুরী, মুরশেদ আহমদ। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক: শফিউল আলম, অলিউর রহমান অলি, আবুল খায়ের কায়েদ, মো. এনামুল হক।সাংগঠনিক সম্পাদক: নুরুল গনি চৌধুরী সোহেল, অ্যাডভোকেট শাহিদ আলী তালুকদার, ছোহেল আহমদ চৌধুরী রিপন, জামাল চৌধুরী, জাহান আহমদ।
এদিকে সভাপতি পদে শেখ সুজাত মিয়ার সরে দাঁড়ানোর পর তার অনুসারী হিসেবে পরিচিত সাবেক সভাপতি খালেদ আহমদ পাঠান নিজেকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট মুদ্দত আলী জানান, “দলের হাইকমান্ডের সিদ্ধান্তে রিসিডিউল ঘোষণা করা হয়েছে। গণতান্ত্রিক ও সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।”
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সরফরাজ আহমদ চৌধুরী বলেন, “১৫ জুলাই নির্ধারিত কাউন্সিল নিয়ে কোনো বিভ্রান্তি নেই। সকলে মিলে একটি চমৎকার কাউন্সিল উপহার দিতে চাই।” তিনি আরও জানান, সেদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ এবং মাঠে কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। প্রচারণায় ব্যানার, পোস্টার বা ফেস্টুন ব্যবহারে কোনো বিধিনিষেধ নেই।
নবীগঞ্জে বিএনপির রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ এই কাউন্সিল ঘিরে নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর পরিবেশে কাউন্সিল সম্পন্ন হবে—এমনটাই প্রত্যাশা করছেন সবাই।