ওসমানীনগরে এক ব্যক্তির মৃত্যু নিয়ে রহস্য, পরিবারের দাবি হত্যা
প্রকাশিত হয়েছে : ০৩ জুলাই ২০২৫, ১০:০৯ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
ওসমানীনগরে মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার পথে নির্জন রাস্তায় এক ব্যক্তির রহস্যজনক মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। মৃত ব্যক্তির নাম গউছ আলী (৬০)। তিনি উপজেলার দয়ামীর ইউনিয়নের সরিষপুর গ্রামের মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে। গত ২৯ জুন ভূমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আপন ভাই আঙ্গুর আলীর সাথে ঝগড়া হলে উভয় পক্ষ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ১জুলাই মঙ্গলবার সন্ধ্যা বেলায় গ্রামের রাস্তায় তাকে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাঁর বাড়িতে পৌছান। বাড়িতে যাওয়ার পর তিনি মারা গেলে বিষয়টি নিয়ে রহস্য দেখা দেয়। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় হত্যার। ঘটনার পর মৃতের ময়না তদন্ত শেষে গত বুধবার বিকাল ৪টায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার সরিষপুর গ্রামের গউছ আলী ও তার ভাই আঙ্গুর আলী গংদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বাড়ির জায়গা ও নতুন ঘর নির্মাণ নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে গত রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উভয়ের মধ্যে মারামারি হলে গউছ আলী আহত হন। এর পর তার স্ত্রী রেজিয়া বেগম তাকে বিশ্বনাথ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা করান। ঘটনার পর উভয় পক্ষ এক অপরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। গত ১ জুলাই মঙ্গলবার গউছ আলী গ্রামের মসজিদে মাগরিবের নামাজ আদায় করে বাড়ি ফেরার পথে ইছহাক আলীর বাড়ি সংলগ্ন রাস্তায় তাকে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে তাকে তার বাড়িতে নিয়ে গেলে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এরপর মৃতের পরিবার ওসমানীনগর থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ ময়না তদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। ঘটনার পর থেকে আঙ্গুর আলী তার পরিবারসহ গা ঢাকা দিয়েছেন।
গউছ আলীর স্ত্রী রেজিয়া বেগম বলেন, আঙ্গুর আলী গং আমার স্বামীকে মেরেছে। আমি হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়ে বাড়িতে আসি। মাগরিবের নামাজের পর মসজিদ থেকে আসার পথে আমার স্বামীকে রাস্তা থেকে লাশ হিসেবে তুলে ঘরে আনা হয়। আমার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে।
অভিযুক্ত আঙ্গুর আলীর মোবাইলে কল দিলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।ওসমানীনগর থানার ওসি মো. মোনায়েম মিয়া বলেন, সরিষপুরে একটি মারামারি হলে থানায় অভিযোগ আসে, বিষয়টি তদন্তাধিন ছিল। এরপর মাগরিবের নামাজ শেষে একজনকে রাস্তায় পড়ে থাকতে পাওয়া যায় এবং সে মারা যায়। পরিবারের দাবী তাকে হত্যা করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।