সিলেটে জামায়াত নেতা খুনের মূল হোতারা সবাই আ’লীগের
প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ মে ২০২৫, ১১:১৩ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্কঃ
সিলেটে জামায়াত নেতা হাফিজ শিহাব উদ্দিন (৪২) খুন হয়েছেন রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে। হত্যাকাণ্ডের পর খুনিদের পরিচয়ও বেরিয়ে এসেছে। মূল হোতারা সবাই আওয়ামী পরিবারের। তাদের বিরুদ্ধে হাফিজ শিহাবের স্ত্রী খুনের মামলাও করেছেন। পুলিশ মূল আসামিদের গ্রেফতার করতে না পারলেও তিনজন সন্দেহভাজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
কানাইঘাট থানার ওসি আব্দুল আউয়াল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের স্ত্রী হেপী বেগম আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতাসহ ৫ জনের নামোল্লেখ করে আরও ৪-৫ জন অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলায় আসামিরা হলেন- একই গ্রামের ইসলাম উদ্দিন বগলাইয়ের চার ছেলে ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম (৩৬), জামাল আহমদ (৪৩), কামাল আহমদ (৩৯), যুবলীগ নেতা শিব্বির আহমদ (২৭) ও মৃত আনফর আলীর ছেলে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফুর রহমানসহ (৪৮) অজ্ঞাতনামা আরও ৪-৫ জন।
নিহত শিহাব উদ্দিন কানাইঘাট উপজেলার রাজাগঞ্জ ইউনিয়নের খালোপার পশ্চিম মহল্লা গ্রামের মৃত মজু মিয়ার ছেলে। তিনি জামায়াতে ইসলামীর শ্রমিক সংগঠন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের নেতা ছিলেন।
গত মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে কানাইঘাট উপজেলার স্থানীয় খালোপার স মিল সংলগ্ন স্থানে গাড়ি থেকে ইট আনলোড করাচ্ছিলেন শিহাব। এ সময় হঠাৎ করেই ৪-৫ জন যুবকের উপর্যুপরি ছুরির আঘাতে শিহাব উদ্দিনের অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক শিহাব উদ্দিনকে মৃত ঘোষণা করেন।
শিহাব উদ্দিনের বড় ভাই মাসুক উদ্দিন জানান, শিহাব বালু পাথরের ব্যবসা করেন। শিহাব উদ্দিন ২ ছেলে ও ১ মেয়ে সন্তানের জনক। ব্যবসায়িক ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে আমার ভাই শিহাবকে খুন করা হয়েছে।
কানাইঘাট থানার ওসি আব্দুল আউয়াল জানান, ব্যবসায়িক ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে শিহাব উদ্দির খুন হয়েছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। আসামিদের গ্রেফতার করতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আটক তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।সুত্র-যুগান্তর