ঘুষ দিয়ে চাকরি নিলে বেতন হালাল হবে?
প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ মে ২০২৫, ৭:৪৯ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্কঃ
প্রশ্ন: যদি কোনো ব্যক্তি ঘুষ দিয়ে চাকরি নেয় তাহলে সে চাকরি থেকে যে বেতন পাবে তা তার জন্য হালাল হবে না কি হারাম? কুরআন-হাদিস দ্বারা সমাধান দিলে কৃতজ্ঞ হব।
উত্তর: ঘুষ দেওয়া-নেওয়া হারাম। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘুষদাতা ও গ্রহিতাকে অভিসম্পাত করেছেন। (জামে তিরমিযী, হাদিস ১৩৩৭)
তাই ঘুষ দিয়ে চাকরি নেওয়া জায়েজ হবে না। এতে একদিকে ঘুষ প্রদানের কবীরা গুনাহ হয়,অন্যদিকে ঘুষদাতা অযোগ্য হলে অন্য চাকরিপ্রার্থীর হক নষ্ট করারও গুনাহ হয়। তাই এমন কাজ থেকে বিরত থাকা কর্তব্য।
কেউ যদি কারো কোনো হক (অধিকার) নষ্ট করে, ক্ষতি করে বা অধিকারভুক্ত কোনো কিছু ছিনিয়ে নেয় এবং ঘুষ ছাড়া সেই হক ফিরিয়ে দিতে অথবা ক্ষতি করা থেকে বিরত থাকতে অস্বীকার করে, তাহলে ওই একান্ত অপারগ মাজলুম ব্যক্তির জন্য নিজের অধিকার রক্ষার্থে জালিমকে টাকা বা সম্পদ দেওয়া বৈধ। তবে ওই জালিমের জন্য তা গ্রহণ করা হারাম হবে।
চাকরি পাওয়ার আগেই সে চাকরির নির্ধারিত পদ, বেতন ইত্যাদির ওপরে চাকরিপ্রার্থীর হক বা অধিকার সাব্যস্ত হয় না বরং চাকরির জন্য নির্বাচিত হওয়ার পরে, চাকরি পাওয়ার পরে সেগুলো তার অধিকারভুক্ত হয়।
তাই সরকারি বা বেসরকারি কোনো ধরণের চাকরি পাওয়ার আশায়, কর্মকর্তাদের কনভিন্স করার জন্য ঘুষ দেওয়া বৈধ হবে না।
তবে হক সাব্যস্ত হওয়ার পরে কোনো কর্মকর্তা যদি ‘ঘুষ না দিলে চাকরি বাতিল করে দেওয়ার হুমকি’ দেয় এবং হুমকিদাতা তা করার ক্ষমতা রাখে তাহলে তাকে তার চাওয়া সম্পদ প্রদানের মাধ্যমে নিবৃত্ত করা বৈধ।
তবে মুমিন মুসলমানদের জন্য এই অনুমতির বিষয়টা একান্ত অপারগ পরিস্থিতিতে পালন করা উচিত।
অর্থাৎ মাজলুম ব্যক্তি যদি বৈধ কোনো পন্থায় নিজের হক উদ্ধার করার সক্ষমতা রাখে তাহলে সে তাই করবে। আর যদি বৈধ পদ্ধতিতে উদ্ধার করার সক্ষমতা না থাকে তাহলে অর্থ প্রদানের মাধ্যমেও অধিকার রক্ষা করতে পারে।
তথ্যসূত্র: রদ্দুল মুহতার, খণ্ড-৯, পৃষ্ঠা-৬০৭, ফাতহুল ক্বাদীর,খণ্ড-৭,পৃষ্ঠা-২৫৫, বাহরুর রায়েক,খণ্ড-৬,পৃষ্ঠা-২৬২