ওসমানীনগরে গোয়ালাবাজার-খাদিমপুর সড়কে শতাধিক হেলে পড়া গাছ, দুর্ঘটনার শঙ্কা
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ জুন ২০২৪, ২:১৪ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজঃ
সিলেটের ওসমানীনগরের ব্যস্ততম গোয়ালাবাজার-খাদিমপুর-সৈয়দপুর সড়কের ওপর হেলে পড়েছে শতাধিক গাছ। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এক বছর আগে ঝুঁকিপূর্ণ এসব গাছ চিহ্নিত করলেও সেগুলো কাটা হয়নি। এতে দুর্ঘটনার শঙ্কা নিয়েই সড়কটিতে প্রতিদিন যান চলাচল করছে।
ওসমানীনগর ও সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী গোয়ালাবাজার-খাদিমপুর-সৈয়দপুর সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শত শত যানবাহন চলাচল করে। সড়কের দু’পাশে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির অসংখ্য ছোট-বড় গাছ। কিন্তু সড়কের ওসমানীনগর অংশের খাদিমপুর থেকে গোয়ালাবাজার পর্যন্ত শতাধিক গাছ সড়কের ওপর হেলে পড়েছে। এসব গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে প্রায়ই বাস-ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
গত বছর গোয়ালাবাজার তেরহাতি এলাকায় হেলে পড়া গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে এক দিনে কয়েকটি যানবাহন দুর্ঘটনার শিকার হয়। এতে বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হলে বিষয়টি এলজিইডির নজরে আনেন স্থানীয় সংবাদকর্মী ও জনপ্রতিনিধিরা। এরপর এলজিইডির পক্ষ থেকে সড়কে হেলে পড়া ১০৯টি ঝুঁকিপূর্ণ গাছ চিহ্নিত করা হয়। কিন্তু চিহ্নিত করা ওই গাছগুলো আজও সড়কে হেলে পড়া অবস্থায় রয়েছে। এসব গাছ কাটার উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে একটি গাছ উপড়ে সড়কের ওপর পড়ে। এতে ওই সড়কের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় ও সঞ্চালন লাইনে পড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন ঘটায়। পরে স্থানীয়রা গাছটি কেটে সড়কে যান চলাচল ও বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করেন। এর আগে একই এলাকায় একটি গাছ হেলে পড়ায় যান চলাচলে বাধার সৃষ্টি করে। গাছটির কারণে পৃথক সময়ে ছয়টি দুর্ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয় উমরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নিজ উদ্যোগে গাছটি অপসারণ করেন।
সিলেট-শ্রীমঙ্গল বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির চেয়ারম্যান শাহ নুরুর রহমান সানু বলেন, ওই সড়কে হেলে পড়া গাছগুলোর কারণে দীর্ঘদিন ধরে দুর্ঘটনা ঘটলেও গাছগুলো কাটা হচ্ছে না। এসব গাছের ডালে ধাক্কা লেগে প্রায়ই যানবাহনের ক্ষতি হচ্ছে। এ ব্যাপারে তিনি উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বললেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। সড়কে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ গাছগুলো দ্রুততম সময়ে কাটার দাবি জানান তিনি।
উমরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া বলেন, সড়কের হেলেপড়া গাছগুলোর কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। যে কোনো সময়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার শঙ্কাও রয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলার সমন্বয় কমিটির সভায় প্রস্তাবও পাস হয়। কিন্তু দীর্ঘ দিনেও এ ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সড়কটিতে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ দু-তিনটি গাছ কাটা হয়েছে। অপর ঝুঁকিপূর্ণ গাছগুলো চিহ্নিত করলেও প্রাক্কলন তৈরি ও কাটার ব্যাপারে বন বিভাগের অনুমতির প্রয়োজন রয়েছে। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এ ব্যাপারে ওসমানীনগরের ইউএনও অনুপমা দাস বলেন, তিনি সম্প্রতি এ উপজেলায় যোগ দিয়েছেন। সরেজমিন পরিদর্শন করে জনগুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়ে শিগগিরই কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।