গোলাপগঞ্জের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, খোলা হয়েছে ৫৭টি আশ্রয়কেন্দ্র
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ জুন ২০২৪, ১১:১৬ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্কঃ
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব, ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটের কয়েকটি উপজেলা বন্যা আক্রান্ত হয়েছে। বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি। এ দুটি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ইতিমধ্যে গোলাপগঞ্জ উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়া শুরু হয়েছে।
বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় গোলাপগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন ৫৭টি আশ্রয়কেন্দ্র খুলেছে। এছাড়াও খোলা হয়েছে উপজেলা কন্ট্রোল রুম।
গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাঘা ইউনিয়নের নলুয়া, কান্দিগ্রাম, তুরুবাগ,খালপার, জালালনগর, রোস্তমপুর, কালাকোনা, এখলাছপুর, বুধবারীবাজার ইউনিয়নের বহরগ্রাম কালিজুরী, বাণিগ্রাম, আমুড়া ইউনিয়নের সুন্দিশাইল, উপর ঘাগুয়া, লামা ঘাগুয়া, শিকপুর, শিলঘাটের একাংশ এবং বাদেপাশা ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী কয়েকটি গ্রাম পানিতে প্লাবিত হয়ে গেছে।
বাঘা ইউনিয়নের স্থানীয় বাসিন্দা সৈয়দ রাসেল আহমদ জানান, এ ইউনিয়নের নলুয়া, কান্দিগ্রাম, তুরুগবাগ, খালপার, জালালনগর, কালাকোনা, এখলাছপুর এর রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। কয়েকটি গ্রামের ঘরবাড়িতেও পানি ঢুকে গেছে। সুরমার পানি অবিরত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এভাবে পানি বৃদ্ধি পেলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে যাবে।
আমুড়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান কামরান হোসেন জানান, গত (রোববার) রাতের অবিরাম বৃষ্টিতে কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে আমুড়া ইউনিয়নের সুন্দিশাইল, ঘাগুয়া, শিকপুর ও শিলঘাট গ্রামের একাংশ প্লাবিত হয়ে গেছে। এরমধ্যে সুন্দিশাইল গ্রামের কয়েকটি ঘরে পানি ঢুকে গেছে। ৪/৫ টি পরিবারকে শিগগিরই আশ্রয়কেন্দ্রে নিতে হবে।
এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আলী রাজিব মাহমুদ মিঠুন জানান, গোলাপগঞ্জ উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের কুশিয়ারা ও সুরমা তীরবর্তী কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ইতিমধ্যে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৫৭টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। উপজেলায় একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।