সাংবাদিককে মারধর করে ক্যামেরার ট্রাইপড ভাঙলেন এমপি
প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ২:২৯ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ :: দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়ে সাংবাদিকের ওপর হামলা করেছেন। এই সময় তিন সাংবাদিককে মারধর ও ক্যামেরার ট্রাইপড ভাঙচুর করেছেন তিনিসহ তার নেতাকর্মীরা।
হামলায় আহতরা হলেন-ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির রিপোর্টার রাকিব উদ্দিন, ক্যামেরাপারসন তারাচরণ দাশগুপ্ত, চ্যানেল আইয়ের ক্যামেরাপারসন মোহাম্মদ সোলায়মান, আরটিভির ক্যামেরাপারসন এমরাউল কায়েস মিঠু ও দীপ্ত টিভির ক্যামেরাপারসন সাইমুন আল মুরাদ।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় সাংবাদিক ও দলীয় কর্মীদের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর আগে তিনি বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বেলা সোয়া ১১টার দিকে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী চ্যানেল আই চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান চৌধুরী ফরিদ বলেন, নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া শেষে বাঁশখালীর এমপি মোস্তাফিজুর রহমানের কাছে নির্বাচনী আচরণবিধি নিয়ে প্রশ্ন করেন ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির স্টাফ রিপোর্টার রাকিব উদ্দিন। প্রশ্নটি শোনার সঙ্গে সঙ্গে এমপি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী তাকে তেড়ে গিয়ে ঘুষি মারেন। এক পর্যায়ে ক্যামেরা ট্রাইপড ও বুম ছুড়ে ফেলে দেন। পরে সাংবাদিকরা প্রতিবাদ করলে এমপির সঙ্গে থাকা নেতাকর্মীরাও সাংবাদিকদের সঙ্গে হাতাহাতিতে লিপ্ত হন। পরে এমপি দ্রুত গাড়িতে উঠে পালিয়ে যান। এ সময় সাংবাদিকরা গাড়ির গতিরোধ করে তার বক্তব্য নিতে চাইলে সেখানেও এমপির দলবল সাংবাদিকদের ওপর হামলা করেন এবং এমপি নিজ গাড়ি দিয়ে সাংবাদিকদের চাপ দিতে দিতে দ্রুত পালিয়ে যান।
এই ঘটনার পর ক্ষুব্ধ সাংবাদিকরা রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করে হামলার প্রতিবাদ জানান। তারা হামলার বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান সমকালকে বলেন, আমি এ ঘটনার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সিসিটিভি ফুটেজ রয়েছে। তা দেখে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে চট্টগ্রামের যুগ্ম জেলা জজ মো. নোমান তদন্ত শুরু করেছেন বলে জানা গেছে।