বিশ্বনাথের মেয়রের অশালীন বক্তব্যে ফুঁসে ওঠেছে আ’লীগ
প্রকাশিত হয়েছে : ০১ আগস্ট ২০২৩, ৭:৪৯ অপরাহ্ণ
সিলেটের বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমানের অশালীন ও কুরুচিপুর্ণ বক্তব্যের বিরুদ্ধে ফুঁসে ওঠেছে পৌরসভা আ’লীগ। দলচ্যুট, আ’লীগ বিদ্বেষী, বহুল আলোচিত দূর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ও একাধিক হত্যা মামলার আসামী আখ্যায়ীত করে মেয়রের অশালিন ও কুরুচিপুর্ণ বক্তব্যের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান পৌর আ’লীগ নেতৃবৃন্দ।
মেয়র কিছুদিন যাবত বিভিন্ন ইলেট্রনিক্স মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইভে সম্প্রচার করে এবং সভা সমাবেশে বাংলাদেশ আ’লীগ মনোনীত নৌকার প্রতীকের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কটাক্ষ করে আসছেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ আ’লীগের নেতৃত্বকে কটাক্ষ এবং স্থানীয় নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে অশালিন ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিচ্ছেন।
তার এমন বক্তব্য ও বিবৃতিতে জনপ্রতিনিধি, উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, শিক্ষক, আলেম সমাজ, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী’সহ সমাজের সর্বস্থরের মানুষের আত্মসম্মান নিয়ে চলাফেরা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। মেয়র মুহিবুর রহমানের এমন আচরণে অতিষ্ঠ হয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন পৌর আ’লীগের নেতৃবৃন্দ।
সোমবার রাতে বিশ্বনাথ পৌর আ’লীগের দলীয় পেডে লিখিত ভাবে এই প্রতিবাদ জানান পৌর আ’লীগের আহবায়ক আব্দুল জলিল জালাল, যুগ্ম আহবায়ক আলতাব হোসেন ও যুগ্ম আহবায়ক মহব্বত আলী।
ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তারা আরও জানান, গত ১৯৮৪ জাতীয় পার্টির রাজনীতির মাধ্যমে তার বিতর্কিত রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন ঘাত প্রতিঘাতে আত্মরক্ষার্থে বিগত ২০০৪ সালে মুচলেখা দিয়ে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। গত ২০০৮ সালে তিনি সিলেট-২ আসনে নৌকার মনোনয়নও চান। বিতর্কিত আচরণের কারণে নৌকার মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে তিনি নৌকার বিরুদ্ধে মনোনয়ন দাখিল করেন। পরবর্তীতে প্রত্যাহার করে ২০০৮ সালের নির্বাচনে প্রত্যেক্ষ ভাবে বিএনপি সমর্থীত ‘ধানের শীষ প্রতীকের’ প্রার্থীকে সমর্থন দেন। তখন জনরায়ে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী আলহাজ্ব শফিকুর বহমান চৌধুরী, সিলেট-০২ (বিশ্বনাথ, বালাগঞ্জ, ওসমানীনগর) আসনের এম.পি নির্বাচিত হন।
দলীয় শৃংঙ্খলা ভঙ্গের অবিযোগে কেন্দ্রীয় অওয়ামীলীগের সিদ্ধান্তে তাকে দল থেকে বহিস্কারও করা হয়। আর এই আদেশ বহাল থাকা অবস্থায় এখন পর্যন্ত মেয়র মুহিবুর রহমান উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিভ্রান্ত করার জন্য নানা অপকৌশল চালিয়ে যাচ্ছেন। তার এমন অশালিন ও কুরুচিপুর্ণ বক্তব্য থেকে বিরত থাকার জন্য সতর্ক করা হয়। অন্যতায় যে কোনো সময় অপ্রীতিকর ঘটনার দায়ভার মেয়রকেই নিতে হবে বলে বিবৃতিতে তারা জানান।
জানতে চাইলে ‘পাগলে কিনা বলে আর ছাগলে কিনা খায়’ বলে মেয়র মুহিবুর রহমান তার বক্তব্যে জানান, আমি যা বলি তার যতেষ্ট প্রমাণ থাকে। এতে যদি কারও ঘাত্রদাহ হয়, তাহলে ধরে নিতে হবে সেই, ওই ব্যক্তি।