যেসব কারণে রোজ মাকরুহ হয়
প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ এপ্রিল ২০২২, ২:৪৬ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
রমজান মাসে রোজা রাখা মুসলমানের জন্য ফরজ। রোজাদার ব্যক্তি সুবহে সাদিকের সময় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার ও স্ত্রী সম্ভোগ থেকে বিরত থাকে। এ ছাড়া যাবতীয় পাপকাজ পরিহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রোজাদারকে। ইসলামী আইনজ্ঞরা এমন কিছু বিষয়ের উল্লেখ করেছেন যা রোজাদারের রোজা মাকরুহ করে ফেলে।
তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো—
১. গড়গড়াসহ কুলি করা : রোজা থাকা অবস্থায় গড়গড়াসহ কুলি করা এবং নাকের গভীরে পানি পৌঁছানো মাকরুহ। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তুমি ভালোভাবে অজু কোরো এবং নাকের গভীরে পানি পৌঁছাও যদি না তুমি রোজা থাকো। ’ (সুনানে নাসায়ি, হাদিস : ৮৭)
২. বিনা প্রয়োজনে খাবারের স্বাদ নেওয়া : খাবারের স্বাদ গ্রহণ করা খাবার খাওয়ার সদৃশ। তাই বিনা প্রয়োজনে কেউ রোজা রেখে খাবারের স্বাদ নেবে না। কিন্তু যদি বিশেষ প্রয়োজন হয়—যেমন অসুস্থ ব্যক্তি বা শিশুর জন্য খাবার তৈরি করা, তবে তা মাকরুহ হবে না।
৩. রোজা অবস্থায় মুখে থুথু জমিয়ে তা গিলে ফেলা মাকরুহ।
৪. রোজা অবস্থায় পেস্ট বা এমন ঝাঁজযুক্ত মাজন দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করা মাকরুহ। তবে মিসওয়াক করা জায়েজ।
৫. দুর্বল হওয়ার আশঙ্কা থাকলে শিঙা লাগানো মাকরুহ।
৬. কামাসক্ত হওয়ার ভয় থাকলে স্ত্রীকে স্পর্শ করা, চুম্বন করা বা অনুরূপ কোনো স্বামী-স্ত্রীসুলভ আচরণ করা মাকরুহ।
৭. সন্দেহযুক্ত সময় পর্যন্ত বিলম্ব করে সাহরি খাওয়া মাকরুহ।
৮. সাহরি ও ইফতার ছাড়া ধারাবাহিকভাবে একাধিক দিনের রোজা রাখা মাকরুহ।
৯. বেশি কষ্ট হলে মুসাফিরের জন্য রোজা রাখা মাকরুহ।
১০. রোজা অবস্থায় মুখে পানি নিয়ে বারবার কুলি করা, মাথায় পানি ঢালা এবং ভেজা কাপড় শরীরে জড়িয়ে রাখা মাকরুহ।
সূত্র : দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম