সিলেটে সাড়ে ৪ বছর আগে কার্ড পেলেও ভাতা পাচ্ছে না প্রতিবন্ধী নীলিমা
প্রকাশিত হয়েছে : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ৪:০৮ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার প্রতিবন্ধী কিশোরী নীলিমা আক্তার মিতা কার্ড ও ভাতা বই পাওয়ার সাড়ে চার বছর পার হলেও ভাতা পাচ্ছে না। ‘পরের সপ্তাহেই দেয়া হবে’ বলে, সাড়ে চার বছর তার অসুস্থ বাবাকে ঘুরিয়েছে মেম্বার-চেয়ারম্যানরা। একাধিকবার যোগাযোগ করায় ‘বই দেয়াই ভুল হয়েছে’ বলে তাকে তিরস্কারও করে সমাজসেবা অফিসের এক কর্মী।
ভুক্তভোগী নীলিমা আক্তার মিতা ওই উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের পালের চক গ্রামের নুরুল ইসলামের মেয়ে।
নিলীমার বাবা জানান, কৃষি কাজ করে সাত ছেলে-মেয়ে নিয়ে দিনযাপন করছিলেন তিনি। ২-৩ বছর ধরে শারীরিক সমস্যার কারণে কাজ করতে পারেন না। বড় ছেলের সামান্য আয়ে কোনোমতে ঘুরছে সংসারের চাকা। এ অবস্থায় ছোট মেয়ে বাকপ্রতিবন্ধী নীলিমাকে নিয়ে বেকায়দায় পড়েন তিনি। মুখে ভাষা না থাকলেও পড়া-লেখায় মনোযোগী হয়ে ওঠা নীলিমা কেবল লিখনি শক্তি দিয়েই গত বছর পাঠশালা উত্তীর্ণ হয়। এ কারণে তার পড়ালেখা ও চিকিৎসা ব্যয় নির্বাহে জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় প্রতিবন্ধীদের তালিকায় নীলিমার নাম লিপিবদ্ধ করেন তিনি। ২০১৬ সালের ৩০ জুন তার নামে ইস্যু করা হয় প্রতিবন্ধী কার্ডও। দেয়া হয় ভাতা বই। এরপর থেকে কোনো সরকারি সাহায্য-পায়নি সে।
নুরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে, মিথ্যে আশ্বাস দিয়ে সমাজসেবা অফিসের লোকজন আমাকে সাড়ে চার বছর হয়রানি করেছে। অফিসের ইউনিয়ন সমাজকর্মী সুনীল কুমার বৈদ্য ‘তোমাদের বই দেয়াই ভুল হয়েছে’ বলে আমাকে তিরস্কার করে।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা জুবায়ের আহমদ বলেন, তথ্যগত ভুলের কারণে কিছু ভাতায় সমস্যা দেখা দিয়েছে। তবে নীলিমা কেন ভাতা পাচ্ছে না তা দেখছি।
বিশ্বনাথের ইউএনও বর্ণালী পাল বলেন, বিষয়টি শুনেছি কিন্তু কোনো অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দেখবো।