‘যারা লালন-পালন করেন তারাই গণধর্ষণকারীদের সম্পর্কে বলতে পারবেন’
প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০, ৯:০৬ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ :
সিলেটের এমসি কলেজ ক্যাম্পাস থেকে ছাত্রাবাসে তুলে নিয়ে স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে গণধর্ষনের ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন।
তিনি আজ শনিবার বলেন, এই মুহূর্তে আমি সিলেটের বাইরে অবস্থান করছি। ঘটনা সম্পর্কে পুরোপুরি অবগত নই। খোঁজ-খবর নিচ্ছি। তবে ঘটনাটি খুবই নিন্দনীয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের সম্পর্কে এ মুহূর্তে কিছু বলতে চাই না।
তিনি আরও বলেন, যারা তাদের লালন করেন তারাই ভালো বলতে পারবেন।
অধ্যাপক জাকির বলেন, আওয়ামী লীগ সব সময় সুশৃঙ্খল রাজনীতিতে বিশ্বাসী ।তিনি বলেন, খোঁজ-খবর নেয়ার পর এ বিষয়ে তারা দলীয় মতামত ব্যক্ত করবেন।
এদিকে, নিন্দনীয় এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতাদের সবাই স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা অ্যাডভোকেট রঞ্জিত সরকারের অনুসারী বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে কথা বলার জন্যে রঞ্জিত সরকারের মুঠোফোনে বারবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
অন্যদিকে সিলেটে অনেকদিন থেকে ছাত্রলীগের কমিটি না থাকায় সংগঠনটির দায়িত্বশীল কারও প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।
এদিকে আলোচিত এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। শনিবার সকালে নয়জনকে আসামি করে শাহপরাণ থানায় ধর্ষিতার স্বামী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।
এজহারনামীয় আসামিরা হলেন, এম. সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেক আহমদ, অর্জুন লঙ্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান। এদের সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আসামিদের মধ্যে তারেক ও রবিউল বহিরাগত। বাকিরা এমসি কলেজের ছাত্র।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ির এক তরুণী স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে বেড়াতে আসেন। এ সময় ছাত্রলীগকর্মী এম. সাইফুর রহমান ও শাহ মাহবুবুর রহমান রনির নেতৃত্বে স্বামী ও স্ত্রীকে পার্শ্ববর্তী কলেজ ছাত্রাবাসে তুলে নিয়ে যায় আসামিরা। পরে সেখানে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ করে তারা।
এ সময় ছাত্রলীগকর্মীরা ওই তরুণীর স্বামীর প্রাইভেটকারও ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে স্বামী-স্ত্রী ও তাদের প্রাইভেটকার উদ্ধার করে। পরে ধর্ষণের শিকার তরুণীকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়।
ধর্ষণের ঘটনার পর রাতভর অভিযান চালালেও কোনও অভিযুক্তকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।