ফেসবুকের নতুন ‘এভাটার’ ট্রেন্ডে কি তথ্য ফাঁস হবে?
প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১২:২২ পূর্বাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
নতুন ট্রেন্ড ‘এভাটারে’ কাঁপছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। স্ক্রল করলেই যেন এভাটার ট্রেন্ড ছাড়া চোখে আর কিছুই পড়ছে না। বিশ্বের আর সব দেশের মতো বাংলাদেশের ব্যবহারকারীরাও এই স্রোতে গা ভাসিয়েছেন। এবং অনেকেই এই ট্রেন্ড নিয়ে মাতামাতিও শুরু করেছেন। কিন্তু এই ট্রেন্ডে কি তথ্য ফাঁস হওয়ার ঝুঁকি কতটুকু? কী বলছেন এ বিষয়ে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা।
মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই নানা রকম ডিজাইনের ‘এভাটারময়’ হয়ে উঠেছে ফেসবুকের নিউজফিড। যেখানে সবাই রীতিমতো নিজেকে কার্টুনে পরিণত করতে মেতে উঠেছেন। সারাটা দিন ধরেই এই ট্রেন্ড এর স্রোতে গা ভাসাচ্ছেন ফেসবুকবাসী। তবে এর শুরুটা করেছে ফেসবুক নিজেই।
জানা গেছে, গত মে মাসে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার ব্যবহারকারীদের জন্য সর্বপ্রথম এভাটার ফিচার নিয়ে আসে। পরে, সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ এশিয়ায় ফিচারটি অবমুক্ত করে ফেসবুক। এর পরপরই ফিচারটি ভাইরাল হয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছে, এটি ফেসবুকের একটি নতুন বিনোদনের মাধ্যম যাতে নতুন করে কোন ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়ার ঝুঁকি নেই।
কিন্তু এমন ট্রেন্ডে বিরক্ত হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সুপ্তি দাস চৈতি। তিনি বলছেন, ‘আমরা সবকিছুকেই ট্রেন্ড বানিয়ে বিরক্তিকর পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছি। এভাটারের ট্রেন্ডটাও এমন পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। আমার মনে হচ্ছে এখন আমরা ট্রেন্ডকে নিয়ন্ত্রণ করছি না, ট্রেন্ড আমাদের নিয়ন্ত্রণ করছে।’
তবে এর উল্টো মত প্রকাশ করছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী রাহুল মন্ডল। তিনি বলছেন, এটাকে এত সিরিয়াসলি নেয়ার কিছু নেই। এটা একটা নির্দোষ মজা। সময়ের স্রোতে এই ট্রেন্ড এসেছে আবার সময়ের স্রোতে চলে যাবে।
রাহুলের মতই ‘এভাটার’ ট্রেন্ডকে সহজ দৃষ্টিতেই দেখতে অনুরোধ করেছেন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী ফজলে রাব্বী। তিনি বলছেন, করোনার এই সময়ে ঘরবন্দি থাকতে থাকতে মানুষ অনেক কিছু নিয়েই মেতে উঠেছে। এভাটারও এমন একটা বিষয়। এগুলো মজা ছাড়া আর কিছুই নয়।
এভাটার বিষয়ে কথা বলেন সাইবার-৭১ এর পরিচালক আবদুল্লাহ আল জাবের হৃদয়। তিনি বলেন, ‘এই এভাটার ফিচারটি ফেইসবুকের নিজস্ব একটি ফিচার যা সম্প্রতি চালু হয়েছে। এটি বেশ নিরাপদ। তথ্য চুরির সঙ্গে এখন পর্যন্ত এর কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানা যাচ্ছে।’