স্পেনে করোনায় আক্রান্ত দুই শতাধিক বাংলাদেশি, আশঙ্কাজনক ১০
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ আগস্ট ২০২০, ১১:৪৪ পূর্বাহ্ণ
কবির আল মাহমুদ, স্পেন:
স্পেনে দুই শতাধিক বাংলাদেশি নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে অন্তত ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এদের মধ্যে দেশটির রাজধানী মাদ্রিদে ৬ জন এবং বার্সেলোনায় ৪ জন।
মাদ্রিদের মানবাধিকার সংস্থা ভলিয়ান্তে বাংলার দেয়া তথ্য অনুসারে, মাদ্রিদে বর্তমানে বাংলাদেশি আক্রান্তের সংখ্যা ১১৩ জন। শুধু গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে বাংলাদেশি আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ জন। পর্যটন শহর বার্সেলোনায় বাংলাদেশিদের মধ্যে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা অর্ধশতকের ওপরে।
করোনা আক্রান্ত বাংলাদেশি আটটি পরিবার লকডাউনে আছেন। যাদের প্রায় সবাই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। তাদের বেশির ভাগই বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। এছাড়া করোনা সংক্রমিত হয়েছেন এমন আশঙ্কায় পরীক্ষা করিয়েছেন প্রায় দুই হাজার বাংলাদেশি। যাদের শতকরা প্রায় আট শতাংশ কোভিড-১৯ পজিটিভ এসেছে।
ইউরোপের মধ্যে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত দেশের তালিকায় বর্তমানে স্পেন প্রথমে আছে। আর বৈশ্বিক পরিসংখ্যানে ৬ নম্বরে। এর মধ্যে স্পেনে মৃতের সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার স্পর্শ করেছে। আক্রান্ত হয়েছে এখন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে চার লাখ।
রাষ্ট্রীয় সতর্কতা উঠিয়ে নেয়ার পর বর্তমানে স্পেনে দ্বিতীয় ধাপে কোভিড মহামারি ছড়িয়ে পড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড সংখ্যক নতুন আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন তিন হাজার ৫৯৪ জন। মৃত্যুবরণ করেছে ৪৭ জন। আক্রান্তের প্রায় অর্ধেকই রাজধানী মাদ্রিদে (১৫১৩ জন)।
এদিকে অক্সফোর্ডের তৈরি কোভিড-১৯ টিকা কিনবে বলে ঘোষণা দিয়েছে স্পেন। ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে অক্সফোর্ডের তৈরি টিকা আসবে বলে জানিয়েছেন দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সালভাদর ইয়া। তিনি বলেন, সব ঠিক থাকলে দুই ডোজ করে টিকা প্রয়োগের হিসাব করে ডিসেম্বরের শেষের দিক থেকে টিকা দেয়া শুরু করা হবে।
এছাড়া সম্প্রতি সর্বোচ্চ আক্রান্ত প্রদেশগুলোর মধ্যে অন্যতম কাতালোনিয়ায় কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ অতিক্রম করেছে। গত ১৭ থেকে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত ছয় হাজার ৬৪৮ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন কাতালোনিয়ায়। বর্তমানে গড়ে প্রতিদিন ৯০০ জন নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন।
এছাড়া কাতালোনিয়ায় বর্তমানে ১৩৬ জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় আইসিইউতে ভর্তি আছেন। হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৬৬২ জন। কাতালোনিয়ায় এখন পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা প্রায় ১৩ হাজার। এর মধ্যে হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছে ৫৫%, বৃদ্ধদের আবাসস্থলে ৩২%।