নবীগঞ্জে প্রধানমন্ত্রীর উপহার প্রণোদনার তালিকা নিয়ে ‘তুলকালাম’
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ মে ২০২০, ৭:৩৪ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
নবীগঞ্জ উপজেলার কালিয়ারভাঙ্গা ইউপির চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামকে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ করেছেন চেয়ারম্যান নিজেই। এর আগে ইউনিয়নের প্রধানমন্ত্রীর উপহার প্রণোদনার খসড়া তালিকায় শ্রমিকদের নাম নাই অজুহাত নিয়ে রিকশা ও সিএনজি শ্রমিকের পক্ষ নিয়ে বিএনপি নেতা মির্জা , আওয়ামী লীগ নেতা ফরহাদ, শ্রমিক নেতা আরজু ও আকবর আলী মিলে কিছু লোকদের সাথে নিয়ে চেয়ারম্যান অফিসে গিয়ে হট্টগোলের ঘটনা ঘটায়। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শনিবার দুপুরে। ঘটনায় আহত ইউপি চেয়ারম্যান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান বাদি হয়ে নবীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, সারাদেশের ন্যায় কালিয়ারভাঙ্গা ইউপিতে ৭৪৮ জনের নামে প্রধানমন্ত্রী উপহার প্রণোদনা (২৫০০ টাকা) বরাদ্ধ দেওয়া হয়। ৯টি ওয়ার্ড মেম্বার নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ওই তালিকার প্রাথমিক খসড়া প্রস্তুত করে উপজেলা নির্বাহী অফিসে জমা দেন। ওই তালিকা প্রেরণে খবর পেয়ে কালিযারভাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ফরহাদ, তার ভাই ইউপি যুবদলের সেক্রেটারী মির্জা, শ্রমিক নেতা আরজু ও তাদের ঘনিষ্ট ইউপি মেম্বার আকবর আলী মিলে স্থানীয় রিকশা ও সিএনজি শ্রমিকদের নামে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ২৫০০ টাকা করে বরাদ্ধ আসছে এমন তথ্য প্রচার করে তাদেরকে সংগঠিত করে। শুক্রবার বিকালে ওই লোকজন চেয়ারম্যান অফিসে গিয়ে প্রণোদনার তালিকা দেখতে চান। শনিবার সকালে দেখানোর কথা বলে তাদেরকে বিদায় দেন।
শনিবার সকালে ইউপি অফিসে চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম যাওয়ার পর তারা অফিসে প্রবেশ করে চেয়ারম্যানকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন। এ নিয়ে চেয়ারম্যানের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পরে তারা। এতে হট্রগোলের সৃষ্টি হয়। এ সময় চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম তাদের দমন করার চেষ্টাকালে ডেকার দিয়ে তাকে হত্যার চেষ্টা করার অভিযোগ করেছে চেয়ারম্যান।
একপর্যায়ে লোকজন চেয়ারম্যানকে ইউপি অফিসে অবরুদ্ধ করে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে চেয়ারম্যানকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। এ ঘটনায় ইউনিয়নের সর্বত্র চরম উত্তেজনা ও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এ ঘটনায় চেয়ারম্যান বাদি হয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন, সরকারের নিয়মানুসারে প্রণোদনার তালিকার প্রাথমিক খসড়া প্রস্তুত করেছি। শুধুমাত্র শ্রমিকদের জন্য প্রণোদনার নগদ টাকা এসেছে তা আমার জানা নাই। হামলাকারীরা পরিকল্পিতভাবে আমাকে হত্যা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।
মির্জা হোসাইন জানান, প্রণোদনার তালিকায় শ্রমিকদের নাম না থাকার কারণ জানতে গিয়ে অফিসে যাই এবং তালিকা দেখানোর জন্য অনুরোধ করি। এতে চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত হলে হট্টগোলের ঘটনা ঘটে।
নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আজিজুর রহমান চেয়ারম্যান কর্তৃক দরখাস্ত দাখিলের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।