সিলেটে রেডএলার্ট
প্রকাশিত হয়েছে : ৫:৪২:১২,অপরাহ্ন ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০
সুরমা নিউজ:
সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ সিলেটের সবগুলো স্থলবন্দর এখন রেডএলার্টে। প্রাণ সংহারক নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতেই এ সতর্কতা। এরই মাঝে শুক্রবার থেকে শনিবার পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টয় ওসমানী বিমানবন্দর এবং ৬টি স্থল সীমান্ত দিয়ে ৫৭৭ জন বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন। শনিবার সরকারের বিভাগওয়ারি পয়েন্টস অব এন্ট্রি রিপোর্টে ওই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাসে ওসমানী বিমান বন্দর ও স্থল বন্দরগুলোতে স্ক্রিনিং চালু করার পর থেকে এপর্যন্ত সিলেটে আসা ৪ হাজার ৪শ ৬৯ জনকে স্ত্রিনিং করা হয়েছে।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দেশের তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিদেশফেরত সব যাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর অংশ হিসেবে ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিমানবন্দরে বিদেশ থেকে আসা সব যাত্রীর হেলথ ডিক্লারেশন ফরম (স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য উল্লেখ করা) পূরণ করতে হচ্ছে। বিদেশফেরত যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি থার্মাল স্ক্যানার (আর্চওয়ে বা দরজার চৌকাঠের মতো দেখতে এক ধরণের যন্ত্র, যাতে জ্বর মাপা হয়) থাকলেও সেটি দেড় বছর ধরে বিকল। ‘হ্যান্ডহেল্ড’ (হাতে বহন করা যায়) থার্মোমিটারে বিদেশফেরতদের জ্বর মাপা হয়। যদিও করোনাভাইরাস প্রতিরোধে গত ২১ জানুয়ারি থেকে দেশের তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছে সরকার।
দেখতে পিস্তলের মতো একটি ডিজিটাল ডিভাইস হলো ‘হ্যান্ড হেল্ড ইনফ্রারেড থার্মোমিটার। সিলেটর সিভিল সার্জন অফিস ঢাকাকে জানিয়েছে যে, প্রতিটি স্থল বন্দরেই এখন নভেল করোনার লক্ষণ সনাক্তকারী ওই যন্ত্র রয়েছে। এই যন্ত্র দিয়েই বিদেশ থেকে সিলেটে আগত প্রত্যেক যাত্রীর স্ক্রিনিং করা চলছে। কিন্তু কারো মধ্যেই করোনা ভাইরাসের লক্ষণ পাওয়া যায়নি।
ঢাকায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পদস্থ কর্মকর্তারা বলেছেন, এপর্যন্ত কেবল চীন থেকে আগত যাত্রীদের স্ক্রিনিং এর আওতায় আনা হয়। দুতিন আগ থেকে আগ থেকে এই স্ট্র্যাটেজিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখন থেকে প্রতিটি সীমান্ত তেকে বাংলাদেশ আসা যাত্রী ও পর্যটকদের পরীক্ষা করা হবে। করোনা ভাইরাস বিস্তারের প্রেক্ষাপটে দেশের অন্যসব বিমান, স্থল ও নৌবন্দরের মতো সিলেটকেও স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তা ও রেড অ্যালার্টের চাদরে মুড়ে নেওয়া হয়েছে। ভারত থেকে সিলেটের ৭টি স্থল বন্দর দিয়ে গত ২৪ ঘন্টায় ১৮৪ জন প্রবেশ করেছেন। একই সময়ে ওসমানী বিমান বন্দর দিয়ে ঢুকেছেন ৪০৮ জন।
২৪ ঘন্টায় জেদ্দা-২২৩ এবং লন্ডন-২৬৪ যোগে ওসমানী বিমানবন্দর দিয়ে ওই ৪০৮ জন প্রবেশ করেন। বিমান বন্দরে এপর্যন্ত ৩৭৬০ জনকে স্ক্রিনিং করা হয়েছে। সিলেটের ওপর তৈরি করা ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তামাবিলে মোট ৩৮২ এবং গত ২৪ ঘন্টায় ১১০, সুতারকান্দিতে মোট ৩৮২ এবং ২৪ ঘন্টায় ১৮, জকিগঞ্জে মোট ১০১, ২৪ ঘন্টায় ২১, চুনারুঘাটের বাল্লা স্থল বন্দরে মোট ২৩ জনের স্ক্রিনিং হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় বাল্লা দিয়ে ভারত থেকে কেউ প্রবেশ করেনি। মৌলভীবাজারের জুড়ীর ফুলতলা (বটুলি) স্থল বন্দরে মোট ৫ জন, গত ২৪ ঘন্টায় মাত্র ১ জন, কুলাউড়ার চাতলায় মোট ৪০, গত ২৪ ঘন্টায় ১৯ জনের স্ক্রিনিং হয়েছে। ভোলাগঞ্জ দিয়ে কোনো আগমন নেই।