যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে শ্রীমঙ্গলে মৎস চাষের উদ্যোগ
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ অক্টোবর ২০১৬, ১:৩৭ অপরাহ্ণ
তোফায়েল আহমেদ পাপ্পু, শ্রীমঙ্গল ( মৌলভীবাজার ) থেকে:
মাছ মারিব, খাইব সুখে। এই প্রবাদটা বোধ হয় মাছে -ভাতে বাঙালির অজানা নয়। নদী-নালা-পুকুরের অভাব নেই এই সোনার দেশে। আর তাই বাঙালির পাতে মাছের টুকরোও রোজকারের বিষয়। মাছ চাষে এগিয়ে রয়েছে এ দেশ। দেশের অনেক এলাকায় মাচ চাষ করে অনেকেরই ভাগ্য বদলও করতে সক্ষম হয়েছেন। আজকাল চাকরির সুযোগ নেওয়াটা সকলের জোটে না। অনেকেই বেকার হয়ে পরিবারের উপর নির্ভরশীল থাকেন।
আর এই বেকারত্ব দুর করতে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করতে ‘করিব মৎস চাষ , সুখে থাকিব বার মাস’ এই স্লোগান নিয়ে মৎস চাষে উদ্যোগী হয়েছেন মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের একঝাক তরুনেরা। শ্রীমঙ্গল উপজেলার শাহীবাগ এলাকায় বিস্তৃর্ণ জমিতে মাছ চাষে উদ্যোগী হয়ে স্বাবলম্বী হওয়ার প্রচেষ্টায় একঝাক তরুন-যুবক। কেউ কেউ মৎস খামারের নাম দিয়েছেন “ভাই ভাতিজা মৎস খামার” কেউ “গ্র্যান্ড শাহীবাগ মৎস খামার” ভিন্ন নামে একটি – দুইটি করে শুরু করে বর্তমানে এখানে অনেকগুলো মৎস্য খামার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কেউ কেউ এককভাবে উদ্যোগ নিলেও বেশির ভাগ ৩-৫ জন আবার ৭-১০ জন সিন্ডিকেট করেও মৎস্য চাষে স্বাবলম্বী হওয়ার উদ্যোগী হয়েছেন। এভাবে শ্রীমঙ্গল উপজেলার প্রায় সব এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় মৎস চাষে অনেকেই উদ্যোগী হয়েছেন। উদ্যোক্তা ছাড়াও এসব মৎস্য খামারে কর্মসংস্থান হয়েছে প্রায় হাজার মানুষের। সারোয়ার জনি নামে এক মৎস্য চাষি জানালেন, প্রথমবার মৎস চাষ করে তেমন লাভবান না হলেও এবারও আরও দুই তরুনকে সাথে নিয়ে মৎস চাষে উদ্ধত্ব হয়েছেন।
শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো: শহিদুল রহমান সিদ্দীক জানান শ্রীমঙ্গলে গড়ে উঠেছে ছোট-বড় প্রচুর মৎস্য খামার। এখানকার চাষিদেরকে মাছ চাষের বিষয়ে আমরা নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে থাকি। বিভিন্নভাবে মৎস চাষে প্রশিক্ষন দেওয়া হয়। খামারগুলো দেশে প্রাণীজ প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে বড় অবদান রাখছে। শ’ খানেক উদ্যোক্তা এখানে মাছের খামার করে মৎস্য উৎপাদনে বিপ্লব ঘটিয়েছে। এলাকার তরুন-যুবকদের কর্মসংস্থানও হয়েছে। গ্র্যান্ড শাহীবাগ মৎস খামারের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন মোমিন জানান পরীক্ষামূলকভাবে দুই বছর ধরে মাছ চাষ করে আসছি। এ বছর প্রায় লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে একটি প্রজেক্ট করেছি। আমাদের সাথে স্কুল কলেজে পড়–য়া শিক্ষার্থীরা রয়েছে। আমাদের ভবিষ্যত পরিকল্পনা মৎস চাষে উদ্যোগী হয়ে এলাকার যুবকদের কর্মসংস্থান সুযোগ সৃষ্টি করা। কৃষি অধিদপ্তর থেকে সহায়তা ও বিভিন্ন প্রশিক্ষন দেওয়া হলে আমরা মৎস চাষে আরও উৎসাহ পাব। প্রচুর অর্থ ব্যয় করে আমামী বৈশাখ মাস থেকে আমাদের আরও বড় মৎস খামার বা প্রজেক্ট করার পরিকল্পনা রয়েছে।