বিপদে বাংলাদেশ
প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ আগস্ট ২০১৬, ৫:৫৩ পূর্বাহ্ণ
সুরমা নিউজঃ ভারত ফারাক্কার সবকটি বাঁধ খুলে দেয়ায় বিপদের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ। যেকোন সময় বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে বাংলাদেশের। বর্তমানে বাংলাদেশের পদ্মার পানি বিপদ সীমা ছঁই ছুঁই করছে। যেকোন মূহুর্তে ঘটতে পারে বিপত্তি। ইতোমধ্যে পদ্মার তীরে ভাঙন শুরু হয়েছে।পদ্মার তীরবর্তী বসবাসরত অধিকাংশ পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এছাড়াও দেশের বেশকিছু জেলার খাল-বিল, নদী-নালায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ঘরবাড়ি ছেড়ে অনেকে আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। কেউ আবার পানিবন্দি ঘরের মধ্যেই মানবেতর জীবন যাপন করছে। রাজশাহীতে পদ্মার পানি বেড়ে নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে।রাজশাহীর শহর বাঁধসহ বিভিন্ন ব্রিজ নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় রয়েছে এলাকাবাসী। এছাড়াও চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও কুষ্টিয়াসহ বেশকিছু জেলার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বলেছেন, ভারত ফারাক্কা বাঁধের গেট খুলে দেয়ার কারণে সেই পানি চলে আসছে বাংলাদেশের পদ্মা নদীতে।পদ্মা নদীতে পানি এখন বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। তারা আরও বলেন, প্রতি তিন ঘন্টায় দুই সেন্টিমিটার করে পানি বাড়ছে। যে গতিতে পানি বাড়ছে, তা অব্যাহত থাকলে খুব শীঘ্রই পদ্মার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করবে। ফারাক্কা বাঁধ খুলে দেয়ায় বাংলাদেশের অনেক মানুষ মানবেতর জীবন যাপন করছে। অনেকে স্ত্রী সন্তান নিয়ে খুবই দুর্বস্থার মধ্যে দিন পার করছেন। গরু, ছাগল, মহিষ ও হাস, মুরগিসহ গৃহপালিত পশু নিয়েও বিপদে পড়েছে অনেকে। মাঠ-ঘাট পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় গবাধি পশুর খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। খুব শীঘ্রই ফারাক্কা গেট বন্ধ না করলে বাংলাদেশের বন্যা পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যেতে পারে। তাই রাষ্ট্রীয়ভাবে ফারাক্কা গেট বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগীরা। তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু রবিবার দুপুরে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার গোলাপনগরে নদী ভাঙন এলাকা পরিদর্শনকালে বলেন, ফারাক্কার গেইট খুলে দিয়ে সঠিক কাজ করেনি ভারত। পদ্মার পানি বেড়ে দেশের যেসব অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে- তার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করে ভারতকে জানানো দরকার।