বিশ্বনাথে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেল কিশোরী
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ আগস্ট ২০১৬, ৬:০৮ পূর্বাহ্ণ
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :
সিলেটের বিশ্বনাথে সাংবাদিকদের তৎপরতার কারণে এক সপ্তাহের ব্যবধানে আরেকটি বাল্যবিয়ে ভেঙে দিল উপজেলা প্রশাসন। ফলে বাল্যবিয়ের অভিশাপ থেকে রক্ষা পেল উপজেলার দেওকলস ইউনিয়নের মটুককোনা গ্রামের ইছমত আলীর মেয়ে রুমানা বেগম।বৃহস্পতিবার একই উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের পাড়ুয়া গ্রামের আবদুস ছত্তারের ছেলে নূরুল হকের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার কথা ছিল ১৪ বছর ৮ মাস বয়সী রুমানা বেগমের।
জানা গেছে, ২০১৩ সালে উপজেলার মটুককোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে অংশ নিয়ে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় রুমানা বেগম। স্কুলের রেজিস্ট্রারী খাতা অনুযায়ী রুমানার জন্ম ২০০১ সালের ১১ নভেম্বর। এর সত্যতাও স্বীকার করেছেন বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা সুহেলা বেগম। প্রায় ৩ বছর পূর্বে রুমানা বেগম ‘আল-ঈশ্বার্দ লতিফিয়া দাখিল মাদরাসা’য় ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয়ে কয়েক মাস পর লেখাপড়া ছেড়েদেয় বলে জানান প্রতিষ্ঠানের প্রধান মাওলানা আবদুল জলিল।
গত ১৪ আগস্ট উপজেলার দেওকলস ইউনিয়নকে আনুষ্ঠানিক ভাবে বাল্যবিয়ে মুক্ত ইউনিয়ন ঘোষণার পর ও আগামী ২১ আগস্ট বিশ্বনাথ উপজেলাকে বাল্যবিয়ে মুক্ত উপজেলা ঘোষণার পূর্বে উপজেলায় একাধিক বাল্যবিয়ে আয়োজনের পায়তারা নিয়ে উপজেলা জুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
দেওকলস ইউনিয়নের নিকাহ ও তালাক রেজিষ্ট্রার কাজী মাওলানা আসাদ উদ্দিন বলেন, রুমানা বেগমের জন্ম সনদে বয়স কম হওয়ায় আমি বিয়েটি পড়াতে পারবো না বলে জানিয়েছি।
দেওকলস ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাহিদ মিয়া বলেন, কনের বয়স কম জানতে পেরে আমি (তাহিদ) সঙ্গে সঙ্গে বিয়েটি ভঙ্গ করার প্রদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য স্থানীয় ওয়ার্ডের মেম্বার বাবুল মিয়াকে বলেছি।
বৃহস্পতিবার ‘রুমানা’র বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়নি জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মাশহুদুল কবীর বলেন, বিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার ও জন্ম নিবন্ধনপত্রে পৃথক জন্ম সাল থাকায় বিষয়টি নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে। কাল (শুক্রবার) সকালে বয়স প্রমাণের জন্য প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র নিয়ে আসার জন্য রুমানার পরিবার ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে বলা হয়েছে।