ব্রিটেনের পার্লামেন্টে বিতর্কিত পারমানবিক অস্ত্র নবায়ন বিল পাসঃ লক্ষ মানুষের প্রানহানির পরোয়া নেই থেরেসা মের
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ জুলাই ২০১৬, ১২:২৪ অপরাহ্ণ
লন্ডন প্রতিনিধিঃযুক্তরাজ্যের পুরনো হয়ে আসা ট্রাইডেণ্ট পারমাণবিক অস্ত্র-ব্যবস্থা নবায়নের বিতর্কিত প্রস্তাব ৩৫৫ ভোটের সংখ্যাগরিষ্ঠতায় গৃহীত হয়েছে আজ পার্লামেণ্টে। লেবার পার্টির নেতা জেরেমি কর্বিন-সহ দলটির একাংশ, স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি ও লিবারেল ডেমৌক্রেটরা এর বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে।ব্যয়বহুল ও ঝুঁকিপূর্ণ এ-অস্ত্রব্যবস্থা নবায়ন নিয়ে যুক্তরাজ্যে বিতর্ক চলছিলো বহুদিন ধরে। যুদ্ধবিরোধী, বামপন্থী ও উদার-গণতান্ত্রিকেরা এর বিরোধী। বিপরীতে রক্ষণশীল দলের প্রায় সকলেই এর পক্ষে। আজ ভৌটে তাদের সাথে সুর মিলিয়েছেন লেবার দলের এ্যাঞ্জেলা ঈগল ও ওয়েন স্মিথ, যাঁরা উভয়েই বর্তমান দলনেতা জেরেমি কর্বিনের বদলের নিজেদের হাতে নেতৃত্ব চান।ট্রাইডেণ্ট পারমাণবিক অস্ত্র-ব্যবস্থা স্কটল্যাণ্ডে অবস্থিত হওয়ায় সেখানকার জাতীয়তাবাদীরা এর বিরুদ্ধে সোচ্চার।আজ তাদের দল স্কটিশ ন্যাশলান পার্টির ৫৮ সাংসদের সকলেই নবায়ন-প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন। স্কটল্যাণ্ডের বাকী একজন সাংসদ রক্ষণশীল দলের প্রতিনিধিত্ব করেন, যিনি প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেন। স্কটিশরা দীর্ঘদিন ধরে দাবী জানাচ্ছে, ট্রাইডেণ্ট অন্ততঃ স্কটল্যাণ্ড থেকে অন্যত্র সরিয়ে নিতে।
লক্ষ মানুষের প্রান হানির আদেশ দিতে প্রস্তুত ব্রিটিশ প্রধান মন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী থেরিসা ম্যের উত্থাপিত ট্রাইডেণ্ট নবায়নের প্রস্তাব নিয়ে বিতর্কে স্কটিশ এমপি জর্জ কেরেভ্যান জিজ্ঞেস করেন, তিনি কি “এক লক্ষ নির্দোষ শিশু-নারী-পুরুষের মৃত্যু ঘটে এমন পারমাণবিক আঘাত হানার আদেশ দিতে” প্রস্তুত কিনা। জবাবে ম্যে কোনো দ্বিধা ছাড়াই বলেন, তিনি প্রস্তুত রয়েছেন।
পারমাণবিক অস্ত্র দিয়ে কোন্ হুমকির মোকাবেলা?
আজীবন যুদ্ধবিরোধী লেবার নেতা জেরেমি কর্বিন বলেন, পারমাণবিক অস্ত্র ইসলামী ষ্টেইটের হুমকি ঠেকাতে পারেনি, সাদ্দাম হুসেইনের নৃশংসতা রুখতে পারেনি, পারেনি বলকানের যুদ্ধাপরাধ থামেতে কিংবা রুয়াণ্ডার গণহত্যা রুখতে। তিনি আরও বলেন, “আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, এমন কোনো সিদ্ধান্ত আমি নেবো না, যা লক্ষ-লক্ষ নিরপরাধ মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয়”। পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছার দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “গণহত্যার হুমকি দেয়াকে আমি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক রক্ষার সঠিক উপায় বলে বিশ্বাস করি না”।