সিলেটে বিভক্ত যুবলীগ
প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ জুলাই ২০১৬, ৫:৫৭ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক: সিলেটে দু’ভাগে বিভক্ত যুবলীগ। বর্তমান সময়ে অন্তঃকোন্দল অনেকটা প্রকাশ্যেই চলে আসছে। চলমান জঙ্গি ইস্যুতে এক হতে পারেনি সিলেট যুবলীগ। বর্তমান সংকটময় সময়ে সরকার সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানালেও খোদ নিজেদের ঘরে ঐক্যবদ্ধ করতে পারেনি আওয়ামীলীগের অঙ্গ সংগঠন যুবলীগ।
সিলেট যুবলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল চরম পর্যায়ে পৌছে গেছে। এমনকি জাতীয় ইস্যুতেও তারা এক হতে পারছে না। খোদ প্রধানমন্ত্রী যেখানে জঙ্গিবাদ ইস্যুতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক দিলেও নিজ ঘরেই তার বিপরীত চিত্র। আবারও সিলেট যুবলীগের অভ্যন্তরীন কোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসলো। তবে এ কোন্দলের কথা স্বীকার করছেন না যুবলীগ নেতারা।
শুক্রবার (১৫ জুলাই) বিকালে সিলেট নগরীর পৃথক স্থানে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ বিরোধী সমাবেশ আয়োজন করে জেলা ও মহানগর যুবলীগ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুবলীগেরর একাধিক সূত্র জানায়, মহানগর ও জেলা যুবলীগ নেতাদের মধ্যে অভন্তরীন দন্দ্ব দীর্ঘদিনের। সেই জন্য এই সমাবেশ পৃথক স্থানে আয়োজন করা হয়।
শুক্রবার বিকালে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহানগর যুগলীগ সভাপতি আলম খান মুক্তির সভাপতিত্বে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীসংঘের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ড. একেএম মোমেন।
ঠিক একই সময় নগরীর কোর্ট পয়েন্ট এলাকায় জেলা যুবলীগের সভাপতি শামীম আহমদের সভাপতিত্বে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ বিরোধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এড্ভোকেট বেলাল হোসাইন।
এ ব্যপারে সিলেট জেলা যুবলীগ সভাপতি শামীম আহমদ অভ্যন্তরীন কোন্দলের কথা অস্বীকার করে বলেন, প্রচার এবং প্রসারের জন্য পৃথক স্থানে সমাবেশ আয়োজন করা হয়। এবং দুটি সমাবেশে একই অতিথি উপস্থিত ছিলেন।
সিলেট মহানগর যুবলীগ আহ্বায়ক আলম খান মুক্তি বলেন, মহানগর যুবলীগের সিদ্ধান্ত মতে আমাদের সমাবেশ হয়েছে। মহানগর এবং জেলার আয়োজন ছিলো আলাদা আলাদা।
তবে শামীম আহমদের বক্তব্যকে মানতে পারছেন না তৃণমূল নেতৃকর্মীরা। তারা বলছেন, দেশের এ ক্রান্তিকালীন সময়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সমাবেশ আয়োজন করলে প্রচার প্রসার আরো ব্যাপক হতো। এসময় অভ্যন্তরীণ কোন্দল দলকে আরো পিছিয়ে দেবে।