সুরমা নিউজ ডেস্ক : গোলাপগঞ্জে বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় এক স্কুল ছাত্রী (১৬) পাশবিক নির্যাতন ও বর্বরতার শিকার হয়েছে। দূর্বত্তরা ওই ছাত্রীর শয়নকক্ষে প্রবেশ করে ইনজেকশন পুশ করে গণধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার শরীফগঞ্জ ইউপির ইসলামপুর গ্রামে সোমবার রাতের কোন একসময় এ ঘটনা ঘটে।  বর্তমানে নির্যাতিতা সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (ওসিসি সেন্টারে) চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ব্যাপারে নির্যাতিতা বাদী হয়ে দুইজনের নাম উলে­খ করে বুধবার গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা (০৮(০৭)১৬) দায়ের করেছেন। পুলিশ রুবেল নামে সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেফতার করেছে।
থানা পুলিশ জানায়, ওই ছাত্রী ২০১৫ সালে পনাইরচক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে অকৃতকার্য হয়। ঘটনার দিন রাতে ৫-৬জন যুবক ঘরে ঢুকে তার বাম হাতে দ্রুত একটি ইনজেকশন পুশ করে। এরপর সে আর কিছু বলতে পারে না। তবে সে সুজন ও বাছির নামে দুইজনকে চিনতে পেরেছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নির্যাতিতা সোমবার রাতে প্রতিদিনের মত খাবার মেয়ে নিজ শয়নকক্ষে একাকী ঘুমায়। পাশের কক্ষে ঘুমান বৃদ্ধ পিতামাতা ও ছোট ভাই। পরদিন মঙ্গলবার সকালে ঘুম থেকে দেরীতে উঠতে দেখে ছোটভাই বোনকে ডাকতে গিয়ে  অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। এ সময় তার চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে তাৎক্ষনিক তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতাল ও পরে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।  এ ঘটনায় কুশিয়ারা পুলিশ কেন্দ্র রুবেল নামে সন্দেহভাজন একজনকে আটক করেছে।
গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম ফজলুল হক শিবলী জানান, বুধবার ওসিসির অভিযোগ পেয়ে মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি ।