ওসমানীনগরের নিখোঁজ যুবকের জি,ডি নিয়ে দুই থানার ঠেলাঠেলি
প্রকাশিত হয়েছে : ১১ জুলাই ২০১৬, ৮:২২ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক : গত তিন দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে সিলেটের ওসমানীনগরের যুবক হেলাল মিয়া(২৪)। সে উপজেলার বুরুঙ্গা ইউপির পূর্ব সিরাজনগর(একাচারী) গ্রামের আব্দুন নূরের ছেলে। হেলাল নিখোঁজের পর তার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় সাধারণ ডায়েরি(জিডি) করতে চাইলে ওসমানীনগর ও মৌলভীবাজার মডেল থানা পুলিশের ঠেলাঠেলির কারণে এখন পর্যন্ত সাধারণ ডায়েরি করতে পারেনি হেলালের পরিবার।
হেলালের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার ভোরে উপজেলার কলারাই বাজার থেকে হেলাল মাছ বিক্রি করতে মৌলভীবাজার শহরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। সকাল সাড়ে ১১টা বেজে গেলেও হেলাল এলাকায় ফিরে না এলে স্বজনরা মৎস আড়তে ফোন করে হেলালের ব্যাপারে জানতে চাইলে আড়ত থেকে জানানো হয় হেলাল মাছ বিক্রি করে সাড়ে আটটার দিকে চলে এসেছে। এসময় হেলালের মোবাইল নাম্বারটিও বন্ধ পাওয়া গেলে সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজ করে কোথাও তাঁর সন্ধান পাওয়া যায়নি। শনিবার রাত ১১টার দিকে মৌলভীবাজার শহরস্থ কুসুমবাগ সড়কের ওপর হেলালের মাছ বহন করার ডোলা পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।
নিখোঁজ হেলালের বড় ভাই বেলাল বলেন, আমার ভাই হেলাল নিখোঁজ হবার পর রাতেই মৌলভীবাজার সদর থানায় জিডি করতে যাই কিন্ত পুলিশ আমার জিডি না নিয়ে ওসমানীনগর থানায় জিডি করতে বলে। রোববার ওসমানীনগর থানায় জিডি করতে গেলে ওসমানীনগর থানা পুলিশও সাধারণ ডায়েরি করতে অপারগতা জানিয়ে মৌলভীবাজার থানায় সাধারণ ডায়েরি করার পরামর্শ দেয়। বেলাল মিয়া আরো বলেন, হেলাল নিখোঁজের পর থেকে হেলালের ঘনিষ্ট বন্ধু তাদের গ্রামের ইছমত আলীর ছেলে ছালামের ফোন বন্ধ ও তাকে বাড়িতে পাওয়া যাচ্ছে না।
মৌলভীবাজার সদর মডেল থানার ওসি অকিল উদ্দিন বলেন, হেলাল যখন ওসমানীনগর থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়েছে তাহলে আইন অনুযায়ী ওসমানীনগর থানাতে সাধারণ ডায়েরি করতে হবে।
ওসমানীনগর থানার ওসি আব্দুল আউয়াল চৌধুরী বলেন, যেহেতু হেলাল মাছ বিক্রি করে মৌলভীবাজার থেকে ফেরার পথে নিখোঁজ হয়েছে তাহলে সাধারণ ডায়েরি মৌলভীবাজার থানাতে করতে হবে।